জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত কে-পপ স্টার হাইসু (K-pop Star Haesoo Death)! ২৯ বছর বয়সেই বেছে নিলেন আত্মহননের পথ। ২০ মে হাইসুর গোয়ানজুমইয়ন পিপলস'ডে-তে পারফর্ম করার কথা ছিল। কিন্তু গত ১২ মে ট্রট গায়িকা হাইসু নিজের বাসভবনে আত্মহত্যা করেন। এমনটা জানাচ্ছে একাধিক কোরিয়ান মিডিয়া। মৃত্যুর আগে হাইসু ছেড়ে গিয়েছেন সুইসাইড নোট। কোরিয়ান ধ্রুপদী সংগীতে ছিল হাইসুর মুন্সিয়ানা। একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি মঞ্চ মাতিয়েছেন আগুনে পারফরম্যান্সে। যদিও হাইসুর প্রকৃত নাম সামনে আসেনি এখনও। ১৯৯৩ সালে জন্মানো হাইসু ২০১৯ সালে তাঁর ডেবিউ অ্যালবাম 'মাই লাইফ, মি' (My Life, Me) প্রকাশ করেছিলেন। প্রথম অ্যালবামেই শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন হাইসু। 'গায়ো স্টেজ','হ্যাংআউট উইথ ইয়ো','দ্য ট্রট শো'-তে হাইসু নিজের গলার কাজ দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Pori Moni: গুরুতর অসুস্থ! ছেলেকে নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি পরীমণি...
যাঁরা কে-পপ ফলো করেন, তাঁদের কাছে হাইসু অত্য়ন্ত পরিচিত নাম। ফ্যানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকের সাগরে ডুবে গিয়েছেন। হাইসুকে জানিয়েছেন শেষশ্রদ্ধা। সম্প্রতি হাইসু তাঁর ইনস্টাগ্রামে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে হাইসু নিয়মিত ফ্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই। দেখতে গেলে ২০১৯ সাল ছিল কে পপের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়। কে-পপ স্টার সুলি আত্মহত্যা করার এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বন্ধু কে-পপ আইডল গু হারাও বেছে নিয়েছিলেন আত্মহননের পথ। মুন বিন ও কিম জং-হিউনের মতো কে-পপ আইডলরাও অনেক অল্প বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়েছেন। কে-পপ অর্থাৎ কোরিয়ান পপিউলার মিউজিক অত্য়ন্ত জনপ্রিয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কে-পপ বিস্তার লাভ করে। কে পপ কিন্তু মিশ্র ঘরানার সংগীত। নাচ ও গানের এক সংমিশ্রণ। এখানে ডান্স, গসপেল, রিদম অ্যান্ড ব্ল্যুজ, হিপ হপ, জ্যাজ, ডিস্কো, ক্লাসিকাল ও রক মেশে। কে-পপ ব্যান্ডের মধ্যে বিটিএস, ব্ল্যাকপিংক, এক্সো, টোয়াইস, রেড ভেলভেট, সুপার এম, ড্রাংকেন টাইগার ও বিগ ব্যাং অত্যন্ত জনপ্রিয়।
(আত্মহত্যা শুধু আপনাকেই নয়, আপনার কাছের মানুষদেরও শেষ করে দেয়। আপনি কোনও ভাবে বিষণ্ণ বা অবসাদগ্রস্ত হলে কল করুন ৯১৫২৯-৮৭৮২১ নম্বরে। সোম থেকে শনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফোন করার সময়।)