নিজস্ব প্রতিবেদন: পল্লবী দে-র(Pallavi Dey) মৃত্যু নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে রহস্য। আত্মহত্যা নাকি খুন করা হয়েছে অভিনেত্রীকে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। সাগ্নিকের(Sagnik Chakraborty) দাবি, হাতে কাজ ছিল না পল্লবীর অন্যদিকে ইএমআইয়ের বোঝা অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু অভিনেত্রীর দুই বান্ধবী ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রত্যুষা পালের মুখে শোনা গেল অন্য গল্প।
ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায়(Bhabna Banerjee) জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান যে, পল্লবী ও সাগ্নিক তাঁর সঙ্গে বুধবার সিনেমা দেখতে গিয়েছিল এবং পল্লবী খুবই স্বাভাবিক ছিল। তাঁকে দেখে বোঝাই যায়নি যে সে কোনওরকম অবসাদে ছিল। তবে পল্লবী ও সাগ্নিকের লাইফস্টাইল নিয়ে প্রশ্নও ছিল তাঁর মনে। অভিনেত্রী বলেন, 'টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে আমাদের ফ্লোর পাশাপাশি ছিল। কখনও এরকম মনে হয়নি ও ডিপ্রেশনে আছে। এছাড়া ওর সিরিয়াল যেমন শেষের পথে ছিল সেকরম ও ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটা হাউজের সঙ্গে কথাও বলেছিল কাজের জন্য। তাঁদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তাঁরা ওকে নিয়ে পজিটিভই ভাবছিল।'
পল্লবীর আরেক কাছের বান্ধবী প্রত্যুষা পালের (Pratyusha Paul) মুখেও একই কথা। তিনি বলেন,'আমি চোখের সামনে দেখেছি,সাগ্নিক পল্লবীকে দামি দামি উপহার দিত। সেগুলো এবার পল্লবী সাগ্নিককে ভালো সাজানোর জন্য ওকে টাকা দিত কিনা আমরা জানি না। পল্লবীও যে টাকাটা রোজগার করত সেটাও লিমিটেড, তার বাইরে কী করে যেত, আমার ধারণা নেই। কাজ নিয়ে পল্লবীর মনের মধ্যে কোনও চিন্তা থাকার কথাই নয়। কারণ ওর স্বভাবই ছিল যে ও একটা সিরিয়াল শেষ হওয়ার অনেক আগে থেকেই নতুন কাজ খুঁজত। এবার ও কথা বলেছিল অন্য হাউজের সঙ্গে। কী করে সব ঘটে গেল এতো কম সময়ে তাই বুঝে উঠতে পারছি না।'
প্রসঙ্গত জেরার মুখে সাগ্নিক পুলিসকে জানিয়েছে, সেদিন সকালে পরিচারিকাকে ফোন করে কাজে আসতে বলেন পল্লবী। পরিচারিকা আসতে না চাওয়ায় দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরিচারিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন সাগ্নিক। তা নিয়ে দু‘জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর রুম থেকে বেরিয়ে ব্যালকনিতে আসেন সাগ্নিক। দরজা বন্ধ করে দেন পল্লবী। সিগারেট খাওয়া শেষ করে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। লকহোল দিয়ে সাগ্নিক দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে অভিনেত্রী। তড়িঘড়ি কেয়ারটেকারকে ডেকে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়।