জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর শোকই কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলিউড তার মধ্যেই আরও এক শোকবার্তা নাড়িয়ে দিয়েছে টিনসেল টাউনকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রয়াত পরিচালক প্রদীপ সরকার। আচমকাই না ফেরার দেশে বলিউডের বাঙালি পরিচালক। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রানি মুখোপাধ্যায়। প্রদীপ সরকারের সঙ্গে লাগা চুনরি ম্যায় দাগ, মর্দানি-র মতো ছবিতে কাজ করেছেন রানি। পারিবারিক সম্পর্ক পরিচালকের সঙ্গে মর্দানির। কিছুদিন আগেও কথা হয়েছে প্রদীপ সরকারের সঙ্গে ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে তাঁর। শোকে মুহ্যমান রানি লিখেছেন, তিনি এই খবরে হতবাক। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এই খবর যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি।
আরও পড়ুন, Pradeep Sarkar passes away: বলিউড 'নিষ্প্রদীপ'! প্রয়াত 'পরিণীতা'-পরিচালক...
রানি মুখোপাধ্যায় বললেন, "দাদা নেই খবরটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। কথা বলার ভাষা পাচ্ছি না। আমি অমৃতসরে যাওয়ার আগের দিনই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম স্বর্ণমন্দিরে। উনি আমাকে ফোন করে আমার ছবির কথা বলেছিলেন। আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে কথাও হয়। দাদা বারবার ফেসটাইমে আসার জন্য জোর দিচ্ছিলেন, কিন্তু সেদিন নেটওয়ার্ক ভাল ছিল না তাই তাঁর সঙ্গে ভিডিও কল করতে পারিনি। এই সপ্তাহেই দেখা করার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে এই খবরটা খুবই অপ্রত্যাশিত। পাঞ্চালি বৌদি আমাকে ভোর ৪ টে নাগাদ ফোন করেন। খুবই খারাপ খবর যে দাদা এভাবে চলে গেলেন।''
জীবনে এমনও ঘটনা ঘটতে পারে! রানির কাছে এ খবর বজ্রাঘাতের মতো। এদিন তিনি আরও বলেন, ''বৌদি আমাকে জানিয়েছিলেন যে দাদার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি ঠিক আছেন। শেষ কয়েকদিনও শ্যুটিং করছিল। আমি জানি না মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে কীভাবে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল। আমি নিশ্চিত যে দাদাকে যারা জানে তারা সবাই তাঁর না থাকার ক্ষতিটা গভীরভাবে অনুভব করবে, যেমনটা আমি করছি। ওর সঙ্গে আমার দারুণ বন্ডিং ছিল। আমরা কয়েক বছর একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি। তাই এটা আক্ষরিক অর্থেই পরিবারের কাউকে হারানোর মতো খবর আমার কাছে। বউদি, রণো আর রায়াও আমার খুব ঘনিষ্ঠ। ওদের কথা ভেবেই কান্না পাচ্ছে। দাদার প্রোডাকশন হাউসে যাঁরা কাজ করেছেন এবং বছরের পর বছর ধরে যাঁরা তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলের কাছে আমি ব্যথিত। একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল।''
রানি মুখার্জি জানিয়েছেন, প্রদীপ সরকারের মৃত্যুতে তিনি সত্যিই মর্মাহত, কারণ তাঁর সঙ্গে খুব শীঘ্রই দেখা করার কথা ছিল। আপনি কখনই বুঝতে পারেন না যে জীবন এত অপ্রত্যাশিত কিভাবে, আপনি একজন ব্যক্তির সাথে কথা বলেন এবং পরের জিনিসটি আপনি জানেন যে ব্যক্তিটি সেখানে নেই। আমি আমার শেষ স্মৃতি ধরে রাখব যে তিনি আমার জন্য খুব খুশি এবং উত্তেজিত ছিলেন, কারণ তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন আমার ছবির জন্য এবং আমার সব দিক থেকে তিনি যে ফিডব্যাক পাচ্ছিলেন তা ভাগ করে নিতে।