জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দরিয়ায় ভাসিয়েছেন সুরের সাম্পান। হিন্দি ছবিতে তো বটেই, বাংলায়, তামিলে এবং আরও বেশ কিছু ভারতীয় ভাষার ছবিতেও তাঁর সুরের জাদু দেখেছেন, শুনেছেন শ্রোতা। তাঁর শিল্পে কখনও বাংলার লোকসুরের ছোঁয়া, কখনও মধ্যপ্রদেশের ...। বাবা সরোদা বাজাতেন, মা কত্থক শিল্পী। এই আবহে বড় হয়ে ওঠা। ফলে তাঁর ভিতের সংগীতটা ছিলই। তিনি শান্তনু মৈত্র। ১৪২৯ সালের জি ২৪ ঘণ্টা অনন্য সম্মান পেলেন তিনি। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন উষা উত্থুপ। পুরস্কার হাতে নিয়ে বলতে গিয়ে প্রথমেই জি ২৪ ঘণ্টাকে ধন্যবাদ দিলেন তিনি। কোথায় পেয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ সুরের সরণি এই প্রশ্নের উত্তরে শিল্পী বলেন, মানুষ যেখানে সেখানেই সুর!
আরও পড়ুন: Rubina Dilaik: রুবিনা দিলায়েকের গোল্ড ড্রেসের ঝড় ইন্টারনেটে, শীতেও ঘামছে নেটদুনিয়া
শান্তনু লক্ষ্ণৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন খুব ছোট তখন তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন। প্রথমে দিল্লির প্যাটেল নগরে থাকতেন। পুশা রোডের স্প্রিংডেলস বিদ্যালয়ে পড়াশুনা। যেখানে তিনি ব্যান্ডের গায়ক ও ব্যান্ডলিডার ছিলেন। ১৯৮২ সালে এই ব্যান্ডটি বিদ্যালয়ের প্রথম রক শো করে। স্প্রিংডেলসের একজন প্রাক্তন ছাত্র ও এই শহরের লোকগায়ক সুস্মিত বোসের থেকে সঙ্গীতশিক্ষা পান। পরে তিনি দক্ষিণ দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে চলে যান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত দেশবন্ধু কলেজে পড়াশুনা। অর্থনীতিতে স্নাতক হন।
আরও পড়ুন: Akshay Kumar: 'ভারতই আমার কাছে সবকিছু', কানাডার নাগরিকত্ব ফেরাতে বড় পদক্ষেপ নিলেন অক্ষয়
শান্তনু তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন বিজ্ঞাপন সংস্থায়। ঘটনাক্রমে বিজ্ঞাপন জিংগলসের সঙ্গীতরচনা করেন। জনপ্রিয় কিছু জিংগলসের জন্মও দেন। এর পরে ইন্ডিপপ অ্যালবামের জন্য সুর রচনা। কিন্তু আরও পথ পড়েছিল তাঁর জন্য। তিনি ২০০২ সালে মুম্বই গেলেন। ২০০৫ সালে ব্রেক। 'পরিণীতা' ছায়াছবিতে কাজ।
আক্ষরিক অর্থেই দারুণ ব্রেক ছিল সেটা। পরে তো একে একে বহু মাইলফলক পেরিয়ে যাওয়া। এখন বলিউডের সংগীতে শান্তনু একটা ব্র্যান্ড।