নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্তের মামলায়, মাদককাণ্ডে রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে পারে NCB। ইতিমধ্যেই সৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে NCB সূত্রে খবর। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর KPS মালহোত্রা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর সঠিক সঠিক তথ্য প্রমাণ মিললে সৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি রিয়ার বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল সমেত একাধিক ইলেকট্রনিক গেজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর KPS মালহোত্রা। প্রয়োজনে সমন পাঠানো হতে পারে রিয়া চক্রবর্তীকেও।
আরও পড়ুন-'২০১৯ পর্যন্ত সুশান্তের জীবনে কোনও সমস্যা ছিল না', ফের রিয়ার বিরুদ্ধে সরব বিকাশ সিং
Maharashtra: Officers of Mumbai Police reach the residence of #RheaChakraborty in Mumbai.
— ANI (@ANI) September 4, 2020
A house search is being conducted by Narcotics Control Bureau (NCB) at Showik & Rhea Chakraborty's residence as provided under NDPS Act. pic.twitter.com/YEnJIXsOGZ
Maharashtra: Brother of #RheaChakrobarty, Showik brought to Narcotics Control Bureau (NCB) office in Mumbai.
— ANI (@ANI) September 4, 2020
The Bureau had summoned Showik Chakraborty and Samuel Miranda to join the investigation in connection with #SushantSinghRajput death case. pic.twitter.com/nDasAIS7vk
এদিকে সুশান্ত মামালায় সৌমিক চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে যে মাদক সরবরাহকারীদের নাম মিলেছে, তাঁদের মধ্যে ধৃত আবদুল বসিত, জায়েদ ভিলাত্রাকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে NCB। বসিত ও ভিলাত্রা জেরায় সৌভিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাদক সরবরাহের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের ব্যান্দ্রার একটি ফুটবল ক্লাবে মাদকের কারবার শুরু করেন সৌভিক। NCB-র তদন্তে উঠে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য। ব্যান্দ্রার ওই ফুটবল ক্লাবে আবদুল বসিতের সঙ্গে পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব হয়ে যায় সৌভিক চক্রবর্তীর। এরপর বসিতের মাধ্যমেই মাদক পাচারকারী ফৈয়াজ আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিনেত্রীর ভাইয়ের।
সূত্রের খবর, সৌভিক চক্রবর্তীর মাধ্যমে যাতে বলিউডে প্রবেশ করে জমিয়ে ব্যবসা করা যায়, সেই চেষ্টাই শুরু করেন ধৃত বসিত, জায়েদ এবং ফৈয়াজ। সৌভিকের মাধ্যমে বলিউডের বিভিন্ন হাই-প্রোফাইল পার্টিতে হাজির হয়ে সেলেবদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল এই মাদক কারবারীরা। পাশাপাশি স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যবসা জমানোই বসিত, জায়েদদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে খবর।