The Kerala Story, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দ্য কেরালা স্টোরিকে ব্যান করা যাবে না বাংলায়, শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরেও বাংলায় গত একসপ্তাহে একটিও সিনেমা হলের একটিও শো পায়নি সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবি। সব হলমালিকদেরই দাবি যে আগামী দুই সপ্তাহ তাঁদের সিনেমা হল ভর্তি শো। সেখানে কোনও শো সরিয়ে দ্য কেরালা স্টোরি দেওয়া সম্ভব নয়। কোনও শো ক্যানসেল করে এই ছবি দেওয়া সম্ভব নয়, এছাড়া ইতোমধ্যেই এই ছবি রিলিজ করেছে প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বাংলায় গত এক সপ্তাহে হল পায়নি দ্য কেরালা স্টোরি। অবশেষে বাংলায় হল পেল এই ছবি।
যেখানে বাংলার প্রায় সব হলমালিকই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে ফিরিয়ে দিয়েছে, সেখানে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁর একটি সিঙ্গল স্ক্রিনে জায়গা পেয়েছে এই ছবি। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাউসফুল চলছে দ্য কেরালা স্টোরির শো। হলমালিকের দাবি, দর্শকের তরফ থেকে ভালোই সাড়া পেয়েছে তাঁরা। এই ছবির সংগীত পরিচালক বিশাখজ্যোতিও বনগাঁর ছেলে। সমস্ত বিতর্ক পেরিয়ে, তথাকথিত থ্রেট কল পেরিয়ে যে তাঁর হোমটাউনের শ্রীমা হল এই ছবি প্রদর্শনে এগিয়ে এসেছে, তা নিয়ে বেশ উত্তেজিত তিনি। তিনি বেশ আশাবাদী যে জনপ্রিয়তার কারণেই আগামীদিনে আরও অনেক সিনেমা হলই এই ছবি আগামীতে দেখানোর ব্যবস্থা করবে।
সম্প্রতি কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যদি চান আমি ওনার সাথে বসে ফিল্মটা দেখবো। যারা অত্যাচারিত হয়েছিল সেই মেয়েগুলোও মমতা দিদির সাপোর্ট চায়’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই সিনেমা ব্যান করা হলেও সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে এই সিনেমা এই সিনেমার উপর থেকে ব্যান তুলে নিতে হবে সরকারকে। যদিও আদালত জানিয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ শুরু হওয়ার আগে বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করতে হবে যে ‘এই সিনেমার গল্প কাল্পনিক’।
কলকাতা সাংবাদিক সম্মেলনে ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, ‘আমরা রাজনীতিবিদ নই, আমরা ছবি বানাই। আশা নিয়ে ছিলাম। কিন্তু এখনও অবধি কোনও হলে দেখানো হচ্ছে না। আমরা প্রচুর ট্রোল হয়েছি। সাহস করে এটা বানিয়েছি। এক একটা সিন পরীক্ষা হয়েছে। সেন্সর বোর্ড তারপরেই আমাদের পাস করেছে। আমি ভীষণ হতাশ’।