Vaishali Takkar, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : 'ইয়ে রিস্তা কেয়া কেহলাতা হ্যায়', 'শ্বশুরাল সিমর কা' খ্যাত অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে গত রবিবার। বৈশালী আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানিয়েছে পুলিস। ঘটনায় স্তম্ভিত টেলি জগত। বছর ৩০-এর বৈশালী যে এমন পদক্ষেপ করতে পারেন, কেউ ভাবতেও পারেননি। বৈশালীর মৃত্যু, আত্মহত্যা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অভিনেত্রীর পুরনো একটি ভিডিয়ো। যেখানে বৈশালীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'জীবন মূল্যবান'।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বৈশালী হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'জীবন ভীষণই মূল্যবান। তাই আমার মনে হয় অযথা বাইরের খাবার খেয়ে, রাত অবধি পার্টি করে, আর একটু ঝগড়া হল তা দেবদাসের মতো মদ্যপান করা শুরু করে দিলেন, এইসব বন্ধ করুন।' পরে নিজের হলুদ হয়ে যাওয়া চোখ দেখিয়ে জানান, তাঁর জন্ডিস হয়েছে। শরীর ভীষণই খারাপ, (মাঝে মজা করে বলেন) মেকআপ করেছেন তাই তাও ঠিক দেখাচ্ছে, নচেৎ তাঁর আসল চেহারা দেখতেও পারতেন না। শরীর এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আর সেকারণেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বহুদিন ভিডিয়ো পোস্ট করতে পারেননি বলে বলতে শোনা যাচ্ছে বৈশালীকে।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
আরও পড়ুন-'ক্ষমতাশালী বলেই আপনাকে সম্মান করব নাকি?' জয়া বচ্চনকে বেদম ঝাড় উর্ফির!
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ বৈশালী ঠক্কর। প্রায়দিনই কোনও না কোনও ভিডিয়ো পোস্ট করতে দেখা যেত তাঁকে। তবে যে বৈশালী একসময় বলেছিলেন জীবন মূল্যবান, তিনি কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনুরাগীরা। অভিনেত্রীর ইন্দোরের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রের খবর, বৈশালীর সুইসাইড নোটে তিনি প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল নভলানিকে দায়ী করেছেন। অভিনেত্রীর ভাই-এর দাবি, রাহুল প্রায়দিনই বিভিন্নভাবে বৈশালীকে হেনস্থা করতেন, হুমকি দিতেন। হয়রানি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল নভলানি ও তাঁর স্ত্রী দিশা নভলানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মধ্যপ্রদেশ পুলিস।
বৈশালীর প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল ও তাঁর স্ত্রী দিশা মধ্যপ্রদেশে বৈশালীর প্রতিবেশী। ভারতীয় দন্ডবিধি ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে বৈশালীকে দিনের পর দিন হয়রান করেছে এই দম্পতি, যার জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী। এসিপি মোতি উর রেহমান জানান, ‘বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বৈশালী। কিন্তু বারবার তাঁর বিয়েতে বাধা দিচ্ছিলেন বৈশালীর প্রাক্তন রাহুল। বৈশালীর সুইসাইড নোটে সেকথারই উল্লেখ রয়েছে। পুলিস রাহুলের বাড়িতে গিয়েছিল কিন্তু তাঁদের পাওয়া যায়নি। আপাতত তদন্ত চলছে।’
পুলিসের দাবি, বৈশালীর আত্মহত্যার পরেই পরিবারকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাহুলের। ইন্দোরের পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন যে, রাহুল ও তাঁর পরিবার যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে তার জন্য তাঁদের নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হবে। এই তদন্তে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসেরও তদন্ত চলছে। রাহুল ও দিশা ছাড়াও এই ঘটনায় দোষীর তালিকায় রয়েছে আরেক ব্যক্তির নাম। তিনি হলেন রোহিত। সম্পর্কে তিনি রাহুলের স্ত্রী দিশার ভাই।