জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'চিনে বাদাম' মুক্তির ঠিক ৫ দিন আগে ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)। আর তা নিয়ে কিছু কম জলঘোলা হয়নি। এমনকি যশের বিরুদ্ধে একপ্রকার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগও তুলেছিলেন পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক (Shiladitya Moulik)। তখনই বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিনেতা। টলিপাড়ায় গুঞ্জন, পরিচালক শিলাদিত্যের বিরুদ্ধে নাকি কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করতে চলেছেন যশ দাশগুপ্ত। সূত্রের খবর, বুধবার সকালেই পরিচালকের কাছে পৌঁছেছে আইনি চিঠি। যদিও এবিষয়ে যশ কিংবা তাঁর সহকারী এখনই কিছু মন্তব্য করতে নারাজ।
এদিকে শিলাদিত্যও অভিনেতার বিরুদ্ধে পালটা মামলা করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও এবিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমার কাছে এখনও কোনও আইনি চিঠি আসেনি। আমি মুম্বইয়ে নিজের বাড়ি গিয়েছিলাম, সদ্য ফিরেছি। তাই এবিষয়ে কিছুই জানি না।' শুধু তাই নয়, অভিনেতার সঙ্গে এই দ্বৈরথের জেরে যশ-নুসরতকে নিয়ে শিলাদিত্যর পরবর্তী ছবি 'মাস্টারমশাই আপনি কিচ্ছু দেখেননি' ছবির ভবিষ্যৎ কী? এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক জানান, 'ছবির শ্যুটিং তো আমি আগেই শেষ করে ফেলেছি, এখন ছবিটার কী হবে, তার সিদ্ধান্ত এনা (এনা সাহা) এবং ওঁর প্রযোজনা সংস্থাই নেবে।'
আরও পড়ুন-প্রেম চোপড়া প্রয়াত! ফোন শোকাহত রাকেশের...
আরও পড়ুন-'রণবীরকে নগ্ন দেখে কোথাও আমার নারীত্ব অপমানিত হয়নি...'
প্রসঙ্গত গত ১০ জুন মুক্তি পায় শিলাদিত্য মৌলিকের 'চিনে বাদাম' ছবিটি। যেখানে যশের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল এনা সাহাকে। তবে শেষ মুহূর্তে ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন যশ। ছবি থেকে যশের সরে দাঁড়ানোর পর সংবাদ-মাধ্যমের কাছে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন শিলাদিত্য মৌলিক। বলেছিলেন, ''ঝাঁ চকচকে লুক নেই বলে প্রথম থেকেই ওঁর একটা আপত্তি ছিল। ২০২২ সালে এসে পিছন দিয়ে ধোঁয়া উড়বে, শ্যাম্প করা চুল উড়বে, এমন ছবি বানানো আমার স্টাইল নয়, সেটা ও জানতই। কালো ছেলেকে কেন আমি সিনে নাচ করাব, এসব নিয়ে যদি কারোর প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে তো আমার কিছু বলার নেই। ছবির সঙ্গে কোনও আত্মিক বন্ধন নেই।'' পরিচালকের এই মন্তব্যের পরই বেজায় বিরক্ত হন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। পরিচালকের মন্তব্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় 'বর্ণবিদ্বেষী' হওয়া নিয়ে আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। এমনকি যশের 'কালো ছেলে' মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।