নিজস্ব প্রতিবেদন: ১ জানুয়ারি থেকে CoWIN পোর্টালে টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে সক্ষম হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা। ৩ জানুয়ারী থেকে কোভিড -19 এর বিরুদ্ধে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। CoWIN প্রধান ডাঃ আরএস শর্মা সোমবার বলেছেন, "১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা ১ জানুয়ারি থেকে CoWIN পোর্টালে নাম রেজিস্টার করাতে পারবেন।"
শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন বিকল্প কি রয়েছে?
"১৫-১৮ বছর বয়সী শিশুদের COVID-19 টিকা দেওয়া এবং HCWs, FLWs এবং কোমর্বিডিটি সহ ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের সতর্কতামূলক ডোজ" অনুসারে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের বিকল্প শুধুমাত্র Covaxin। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
নির্দেশিকা অনুসারে, ৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই টিকারকণ। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা CoWIN-এ নাম লেখাতে পারবে৷ অন্যদিকে , "যাদের জন্ম সাল ২০০৭" বা তার আগে, তারাই এই ডোজের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ড. শর্মা বলেন, সবার কাছে আধার বা অন্য আইডি না থাকলে শিক্ষার্থীরা তাদের সুডেন্টকার্ড ব্যবহার করে CoWIN-এ টিকা দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারে।
কীভাবে CoWIN এ নাম নথিভুক্ত করবেন?
টিকা নেওয়ার যোগ্য প্রার্থীরা (15-18 বছর বয়সী) Co-WIN-এ তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বা একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অনলাইনে নিজেদের নাম লেখাতে পারবেন। এই সুবিধা বর্তমানে টিকা নেওয়ার যোগ্য সকল নাগরিকদের জন্য উপলব্ধ। এই ধরনের প্রিকশন ডোজ নেওয়ার জন্য সাইটগুলিতে টিকাদানকারীর দ্বারা রেজিস্ট্রেশন মোডে নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনলাইনে বা অন-সাইটে (ওয়াক-ইন) বুক করা যেতে পারে। এমনটাই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে।
শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণা
শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের COVID-19 এর টিকা ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। যখনষাটোর্ধ্ব নাগরিক এবং করোনা যোদ্ধাদের এই "প্রিকশন ডোজ" দেওয়া হবে।
বিশ্বজুড়েই দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রণ (Omicron)। করোনার নয়া প্রজাতি ঢুকে পড়েছে ভারতেও। আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই সাড়ে তিনশো পেরিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন অন্ততপক্ষে এক থেকে দুই মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) অনুরোধ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court। শুধু তাই নয়, জনসভা বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকেও (PM Modi)।