নিজস্ব প্রতিবেদন: এক ঢেউ যেতে না যেতেই আরেক ঢেউ এসে গ্রাস করছে একাধিক দেশকে। ভূমিকম্পের শক, আফটার শক-এর মতো অনেকটাই। করোনার ডেল্টা প্রজাতির হানায় বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু এবার ফের ডেল্টার নয়া প্রজাতি AY.4.2-এর হানায় বিপর্যস্ত হতে চলেছে ইউরোপ থেকে এশিয়ার একাধিক দেশ।
ডেল্টার মূল প্রজাতিটি (আলফা এবং বিটাও) যত না সংক্রমক, তাঁর চেয়ে অনেক বেশি সংক্রমক ডেল্টা এবং পরবর্তী ডেল্টা প্লাস। ইতিমধ্যেই এদের মিউটেশনও হয়ে গিয়েছে। ভাইরাসের স্পাইক মিউটেশন হয়ে নয়া ভাইরাসদুটি হল- A222V and Y145H। ব্রিটেন সরকারের স্বাস্থ্য এজেন্সি তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে এই ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন, বাজি না পোড়ানোর পরামর্শ উত্তম, রাস্তা আটকে নমাজপাঠের সমস্যাও দেখান: BJP সাংসদ
এই AY.4.2 ভ্যারিয়েন্ট কী?
* অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেকটাই সংক্রামক স্ট্রেন
* ডেল্টার মূল ভ্যারিয়েন্ট থেকে কতটা আলাদা, কতটা সংক্রমক বেশি, তা এখনও পর্যন্ত বুঝতে পারা যাচ্ছে না
* মনে করা হচ্ছে আলফা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে এর ক্ষতি কম হতে পারে।
এই প্রজাতির হানায় বর্তমানে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। যে হারে সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তার নেপথ্যে এই প্রজাতি, এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "ডেল্টা এখনও প্রিডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট। যদিও নতুন এই প্রজাতি ইংল্যান্ডের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। তবে সবরকম সতর্কতা ও নজরদারি রাখা হচ্ছে সরকারের তরফে।"
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের পর প্রথমবার ব্রিটেনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে যে, গত একদিনে সে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছে ৫২,০০৯ জন। বিগত আট দিনে ব্রিটেনে ৪০ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে মৃত্যুহার কিছুটা হলেও কম। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও স্বীকার করেছেন যে, দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে।