Home> স্বাস্থ্য
Advertisement

কনজাংটিভাইটিস হয়েছে? জেনে নিন কী করবেন আর কী করবেন না

কনজাংটিভাইটিস হলে রোদে বা আলোতেও তাকাতে কষ্ট হয়। চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ নির্গত হতে থাকে ও হলুদ রঙের পুঁজ সৃষ্টি হয়।

কনজাংটিভাইটিস হয়েছে? জেনে নিন কী করবেন আর কী করবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেউ বলেন চোখ উঠেছে, কেউ আবার বলেন জয়বাংলা। তবে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম কনজাংটিভাইটিস। এ রোগের উপসর্গ চোখ লাল হয়ে ফুলে ওঠা। কনজাংটিভাইটিস মারাত্মক কোনও রোগ না হলেও খুবই অস্বস্তিকর। চোখ কটকট করা, ফুলে ওঠা, অবিরাম জল পড়া, পিচুটি কাটা ইত্যাদি নানা সমস্যা হয় কনজাংটিভাইটিসের জন্য।

সাধারণত, প্রতি বছর এই সময়টা (জুলাই-আগস্ট) কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা যায়। কনজাংটিভাইটিস হলে রোদে বা আলোতেও তাকাতে কষ্ট হয়। চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ নির্গত হতে থাকে ও হলুদ রঙের পুঁজ সৃষ্টি হয়। সাধারণত ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই উপসর্গগুলি কমে আসে। কিন্তু দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। চোখের মণি বা কর্নিয়াতে সাদা দাগ পড়ে যায়। যাদিও তা খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না।

আরও পড়ুন: আপনার মুখের ঘা কোনও মারণব্যধির সংকেত নয় তো!

চিকিত্সকদের মতে, কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে, নোংরা হাত চোখে দেওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, বার বার চোখে হাত না দেওয়াই ভাল। চোখ লাল হলে বা কটকট করলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে যথোপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি:

ধুলাবালি, আগুন, চড়া আলো বা রোদ এড়িয়ে চলা।

ময়লা-আবর্জনাযুক্ত স্যাতসেঁতে জায়গায় না যাওয়াই ভাল।

পুকুর বা নদী-নালায় স্নান না করা।

চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা।

সম্ভব হলে ১০ থেকে ১৫ দিন সম্পুর্ণ বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।

Read More