অর্ণবাংশু নিয়োগী: দেহ উদ্ধারের সময়ে 'ধস্তাধস্তি', পুলিসের কাজে বাধা! বিজেপির যুবনেতা অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, কল্যাণ চৌবে ও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।
২ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তখন বাংলায়। ৬ মে সকালে কাশীপুর রেল কোয়ার্টারে পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হয় যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ। কীভাবে মৃত্যু? বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পর ঘরছাড়া ছিলেন অর্জুন। তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিসকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: KK Death Controversy: কলেজ ফান্ডের টাকায় টিএমসিপি'র কেকে'কে নিয়ে অনুষ্ঠান? ইডি তদন্তের দাবিতে মামলা
ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ দলের কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে দফায় দফায় চলে বাকবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি। স্লোগান ওঠে, 'হায় হায়'! এমনকী, দেহ উদ্ধারের সময়ে পুলিসকে বাধা দেওয়া হয় অভিযোগ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR করে চিৎপুর থানার পুলিস। সেই মামলায় সুভাষ সরকার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, কল্যাণ চৌবে ও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে জামিন দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu Murder: CBI তদন্তের নির্দেশই বহাল, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা রাজ্যের
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে অর্জুন চৌরাশিয়ার দেহের ময়নাতদন্ত হয় আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। আদালতে রিপোর্ট জমা পড়ে। সূত্রের খবর. রিপোর্টে উল্লেখ, গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। এরপর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।