Home> কলকাতা
Advertisement

Bangladeshi woman arrested in Jadavpur: এয়ারহোস্টেস, লাস্যময়ী মডেল যাদবপুরের শান্তা পাল আসলে ছলনাময়ী বাংলাদেশি...

Shanta Pal case: আদতে বাংলাদেশি, অথচ তাঁর কাছেই রয়েছে ভারতের পরিচয় পত্র - ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড। বর্ধমানের ঠিকানায় ২০২০ সালে আধার কার্ড ইস্যু করা হয়। বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। 

Bangladeshi woman arrested in Jadavpur: এয়ারহোস্টেস, লাস্যময়ী মডেল যাদবপুরের শান্তা পাল আসলে ছলনাময়ী বাংলাদেশি...

পিয়ালি মিত্র, সন্দীপ প্রামাণিক, রণয় তিওয়ারি: শান্তা পাল নামে ২৮ বছর বয়সী এক মহিলা কে গ্রেফতার করেছে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিস। মঙ্গলবার বিকেলে গল্ফগ্রীণ থানা এলাকার বিক্রমগড়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই মহিলা কে গ্রেফতার করে পুলিস।

বাংলাদেশি পরিচয়ে মহিলা: 

মহিলার কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড পাওয়া গিয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমানে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। এছাড়াও মিলেছে বাংলাদেশি এয়ারওয়েসের এমপ্লয়ী কার্ড। পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অ্যাডমিট কার্ড। সেই মহিলার ভিসা উত্তীর্ণ হওয়ার পর থাকছিল। কিন্তু তার কাছ থেকে দুটো আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে একটি কলকাতা একটা বর্ধমানের। 

https://youtu.be/iAKZZuxwxNc?si=Sc1GxAawXyoaiVCM&t=13

বাড়িওয়ালার বক্তব্য: 

বাড়িওয়ালা অবশ্য জানিয়েছেন, ৭ থেকে ৮ মাস আগে ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে এই বাড়িতে ভাড়ায় আসে। ভারতীয় পরিচয় পত্র তাঁরা দেয়।

পুলিস গ্রেফতার করার পরই বাড়িওয়ালা জানতে পেরেছেন মহিলা নাকি বাংলাদেশি। এদিকে অবশ্য গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারী কর্তারা। ভারতীয় আধার কার্ড , ভারতীয় ভোটার কার্ড রেশন কার্ড বিভিন্ন ঠিকানার পরিচয় পত্র পাওয়া গিয়েছে। ওই বাংলাদেশি মহিলা অভিনেত্রী বলেও শোনা যাচ্ছে।

শান্তার সঙ্গীর পরিচয়: 

শান্তা পাল কে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও একজন বাংলাদেশি যুবকের খোঁজ পেয়েছে পুলিস। যার নাম সুমন চন্দ্রশীল। যেমনটা জানা যাচ্ছে সুমন চন্দ্র শীলের আধার কার্ডে যে ঠিকানা রয়েছে সেটি হচ্ছে আনন্দনগর দক্ষিণ বেহালা রোডH-23/1 । বেহালা ঠাকুরপুকুর এলাকায় তার ওই ঠিকানায় গেলে সুমনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবার সূত্র থেকে যেমনটা জানা যাচ্ছে, এই শীল বাড়ির মেয়েকেই কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিল সুমন শীল এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। পরিবারের লোকজন অসুস্থ থাকায় পাঁচ মাস আগে বেহালা ঠাকুরপুকুরের এই ঠিকানায় সুমনশীলকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল কিন্তু বর্তমানে তাকে আর এই ঠিকানায় খোঁজ মিলছে না। একজন বাংলাদেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে বেহালা এলাকায় কিভাবে আধার কার্ড সহ নিজের পরিচয় পত্র বানালো, সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

কে বা কারা সেই আধার বানিয়ে দিল খোঁজ চলছে। সঙ্গী যুবকের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। একটি প্রতারনার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শান্তার নাম উঠে আসে।

তদন্তের তথ্য: 

তবে, তদন্তে উঠে আসছে নতুন তথ্য। এয়ার হোস্টেস ছিল শান্তা। মডেল হিসেবে নাম ডাক আছে, বেশ কিছু অভিনয় করে পুরষ্কার পেয়েছে মডেল হিসেবে। এখানে স্টার্ট আপ কোম্পানি খোলার চেষ্টা ছিল। কে আধার বানিয়েছে, সেটাই খুঁজে বের করা মূল কাজ গোয়েন্দাদের। দুটো আধার কার্ড, দুটো ঠিকানা দেখে চোখ কপালে তদন্তকারীদের। 

পুলিস জানতে পেরেছে ২০২৩ সাল থেকে এখানে থাকা শুরু করে শান্তা। তার বয়ফ্রেন্ড অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। কলকাতার ঠিকানার যে আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে সেটা ২০২৪ সালে ইস্যু করা। একটি ব‍্যাঙ্কের আধার সেবা কেন্দ্র থেকে জাল আধার বানায় বলে জানা যাচ্ছে 

বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পালের বর্ধমানের ঠিকানায় ২০২০-তে শান্তার নামে ইস্যু হয়েছে ভারতীয় আধার কার্ড। কলকাতার বিক্রমগড় এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন শান্তা। দক্ষিণ কলকাতার আরেক ঠিকানায় শান্তার নামে প্রতি মাসে আসে ইলেকট্রিক বিল।

বাংলাদেশের একটি সংস্থা আয়োজিত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা মিস এশিয়া গ্লোবাল বাংলাদেশ খেতাব জেতেন শান্তা। কয়েকদিন আগে ঠাকুরপুকুর থানায় গিয়ে প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন মডেল অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগে একজনের কাছে দু'দেশের পরিচয়পত্র পাওয়া নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন শান্তা। সেই শান্তার বিরুদ্ধেই এবার ভারত-বাংলাদেশ দু'দেশের পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগ। মোবাইলে তথ্য রয়েছে, কলকাতা ও তেলুগু সিনেমার কাজের সুযোগ পেয়েছিল শান্তা। শান্তার মা পুলিসকে জানিয়েছে, তাঁর মেয়ে বর্ধমানেরর বাসিন্দা। কেন পুলিস এভাবে তার মেয়েকে ধরল তার কোনও ধারণা নেউ তাঁর। 

 

 

বর্ধমানের প্রতিবেশীদের বক্তব্য: 

ধৃত বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পালের কাছে ভারতীয় আধার কার্ডে পূর্ব বর্ধমানের ঠিকানা। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপাল পুর গ্রামের রজডাঙ্গা। আধার কার্ডের ঠিকানায় লেখা আছে শান্তা পাল, গ্রাম গোপালপুর,রজডাঙ্গা, প্রযত্নে স্বপন পাল।  ২০২০ সালে সেই আধার কার্ড ইস্যু হয়।

দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শান্তা পাল নামে ওই অভিনেত্রীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তার কাছে ভারতের আধার কার্ড রয়েছে। অথচ তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বলেই জানা গিয়েছে। তবে গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা জানান শান্তা পাল নামে কোন মহিলাকে তারা চেনেন না। রজডাঙ্গা পাড়ায় মূলত তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসবাস।একই কথা বলেন বড়শুল ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, এই নামে তাদের এখানে কোন নাম নেই ভোটার কার্ডে। সুতরাং এটি পুরোপুরি ভুয়ো ঠিকানা।

আরও পড়ুন:  Mumbai Tutor Torture: কী বিচ্ছিরি হাতের লেখা! সবক শেখাতে খুদে পড়ুয়ার মুঠোর নীচে জ্বলন্ত মোমবাতি... টিউটরের টর্চার...

আরও পড়ুন:  UttarPradesh: উদ্দাম পরকীয়ায় আপত্তি স্বামীর, কাঁওয়ার যাত্রা থেকেই তুলে এনে জীবন্ত জ্বালাল বউয়ের প্রেমিক...

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

  

Read More