দেবারতি ঘোষ: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও এবার র্যাগিং? 'প্রতিবাদ করলেই মারধর, খাওয়া বন্ধ'! বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এক পড়ুয়া। তাঁর দাবি, হস্টেল সুপার ও অধ্যাপকদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। থানায় FIR করার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস।
আরও পড়ুন: JU Student Death: 'স্বপ্নদীপ ডে হবে বিধানসভায়', যাদবপুর কাণ্ডে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের বাড়ি বীরভূমে। ২০১৯ সালে স্কলারশিপের টাকায় বিটেকে ভর্তি হন বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে। তারপর? ওই ছাত্রের অভিযোগ, 'আমি ২০১৯ সালে যখন আসি, তখন সিনিয়র দাদারা বলেন যে, ইন্ট্রো দিতে হবে। ইন্টো দেওয়ার নাম করে আমাকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে মদ আনা করাত নিয়মিত, রাত ১২টা-১টা নাগাদ। মদের গ্লাস ধুয়ে দিতে হত। মদ ঢেলে দিতে হত। খেতে বলতেন, জোর করতেন মাঝেমধ্যে। কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ করতেন'।
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে বিটেক পড়ুয়ার দাবি, 'যখন এগুলি ঘটছিল, আমি যথারীতি হস্টেল সুপারকে অভিযোগ করি। হস্টেল সুপার পাত্তা না দিয়ে আমাকে বলতেন, এগুলি কিছু করার নেই। আমি আটকাতে পারব না। মানিয়ে নিতে হবে। নন বোর্ডার, যাঁরা হস্টেলের কেউ নয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, তারা রুম দখল করে রয়েছে। এখানকার দু'জন অধ্যাপক, অধ্যাপক দেবাশিস দাস ও অতীন চৌধুরী অভিযুক্তদের ডেকে উৎসাহিত করতেন। ক্লাসে যেতে পারতাম না, রাতে দরজা তালা মেরে দিত। রুমে প্রস্রাব করে দিয়েছিল। বোমাবাজি করেছিল, আগুন লেগে গিয়েছিল। মেসে খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তিনমাস আমি নিজেই রান্না করে খেয়েছি। দু'বার সুপারের সামনেই মারধর করেছে'।
আরও পড়ুন: JU Student Death: যাদবপুরে ধুন্ধুমার, স্বপ্নদীপের বাড়িতে তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা...
প্রায় মাস দুয়েক পার। বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্র। কীভাবে? ওই পড়ুয়া বলেন, আমি লালবাজারে যোগাযোগ করি, তারপর FIR নেয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত লঘু ধারা দেওয়া হয়েছে'।