রাজীব চক্রবর্তী: বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহুর্তে জল্পনার নাম দিলীপ ঘোষ। সামনেই তৃণমূলের ২১ জুলাই। বিজেপির নেতৃত্বও জানেন না ওইদিন দিলীপের অবস্থান কী হবে। তিনি কী করবেন। আজ মঙ্গলবার বিজেপির কার্যালয়ে খোদ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় তলব।
দিল্লি-তলব:
আর এই আবহেই দিলীপ ঘোষকে তলব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। আগামীকাল কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন দিলীপ ঘোষ। যাচ্ছেন দিল্লি। মনে করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় কোন পদে বা দায়িত্বে দিলীপ ঘোষকে রাখতে চায় দল। আর তাই তাঁকে ধরে রাখার জন্য মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি।
এখন সকলের চোখ কালকের দিল্লি সাক্ষাতের দিকে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: অবেশেষে সভাপতি শমীকের সৌজন্যে বিজেপি দফতরে! দিলীপ ঢুকতেই স্লোগান, শের আয়া...
দিলীপ-শমীক সাক্ষাত্:
ভরা বর্ষায় জট কাটল! 'আপনার হাত ধরে আমরা নবান্নে পৌঁছব', খোদ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের আমন্ত্রণে দীর্ঘদিন পর সল্টলেকে বিজেপি দফতরে দিলীপ ঘোষ। ২১ জুলাইয়ের তীব্র জল্পনার মধ্যেই নতুনকে সংবর্ধনা দিলেন প্রাক্তন। বললেন, 'আপনি যা আদেশ করবেন, সব কর্মীরা, দিলীপ ঘোষও পার্টির একজন সাধারণ কর্মী, আপনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করতে রাজি আছি'।
বিজেপিতে 'ব্রাত্য'?
এবার কি তাহলে তৃণমূলে? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ দাবাং উত্তর দিয়েছেন। যে কর্মসূচি আমার থাকার কথা, সেখানে আমাকে ডাকা হবে। আমি এ রাজ্যের কোন পদাধিকারী নই। সেইজন্য সবদিনে আমাকে থাকতে হবে, এমন তো নয়'।
সল্টলেকে বিজেপি দফতরে প্রায় ১০ মিনিট কথা হয় শমীক-দিলীপের। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, 'আমি বলেছি, আমি নয়, সমস্ত পুরনো কর্মীরা আপনার সঙ্গে আছে। সবার বিশ্বাস আপনার হাত ধরে আমরা নবান্নে পৌঁছব'। দিলীপের কথায়, বিজেপি নিরন্তর এগোচ্ছে। নির্বাচনে কিছু ভালো, কিছু খারাপ রেজাল্ট হয়েছে। কী হয়েছে, কী ব্যাপার, শমীকদার আমার থেকে পুরনো পার্টিতে। আমার যখন পার্টিতে এন্ট্রি হয়, আমি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হই, তার আগে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, বিধায়ক ছিলেন। বিধানসভায় আমাকে ওনার জায়গায় দেওয়া হয়। আমিও রাজ্য সভাপতি হই, বিধায়ক হই, সাংসদ হই। আমার থেকে সিনিয়র লিডার। পার্টি তরফে কর্মসূচি হবে, আদেশ হবে। আমরা সবাই আছি'।
কুণাল ঘোষের বক্তব্য:
এ বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন 'যারা বিজেপির নীতি আদর্শের সাথে যায় না তারা দলে দলে তৃণমূলে আসছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিধায়ক আসছেন। আসলে তৎকাল বিজেপিদের সরানো হচ্ছে। আদি বিজেপি এক হচ্ছে৷ আমরা আমোদে দেখছি৷ উনি আসলে ভাঙ্গন ঠেকাতে এখন নানা কথা বলছেন৷ ওনাদের বিরোধী দলনেতা তো তৃণমূল থেকে যাওয়া৷ যারা চার্টাড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়েছিল। তারা এখন দিদিকে বলছে অটো পাঠান।
আজ দিলীপ ঘোষের সাথে শমীক ভট্টাচার্যর কথা হয়েছে আদি বিজেপিকে কোণঠাসা রুখতে চায়৷ শমীক পুরানো যোদ্ধা৷ রাজু, সায়ন্তনদের দেখা যাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি ফোন যাচ্ছে, আদি বিজেপি এক হও৷ তৎকাল বিজেপি হটাও। ওনারা দুজনে আবার বিরোধী দলনেতার বিরোধী'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)