নিজস্ব প্রতিবেদন: 'দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। এটা শুধু বাংলা নয়, দেশের গর্ব'। ভিক্টোরিয়ায় বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে ছিলেন না রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি। কেন? আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে সূত্রের খবর।
UNESCO-র কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় বাঙালির শারদোৎসব। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় 'কলকাতার দুর্গাপুজো'-কে। কৃতিত্ব কার? রাজ্যে পুরভোটের প্রচারে যখন 'ইউনেস্কো স্বীকৃতি'কে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন টুইট করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডিও। টুইটে লিখেছিলেন, 'টানা ২ বছর ধরে সংস্কৃতি মন্ত্রকের পরিশ্রমের ফলেই দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। শুধুমাত্র বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত নয়, দেশবাসী ও বিশ্বের হিন্দু সমাজ গর্বিত'।
আরও পড়ুন: Amit Shah in Bengal: রাজ্যে এখনই প্রয়োজন নেই ৩৫৬ ধারা লাগুর; 'লড়াই চালিয়ে যেতে হবে', বার্তা শাহের
২ সফরে বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠান করল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, 'নানা মতের মিলন আমাদের সংস্কৃতি। বিবিধতাই আমাদের শক্তি। আমাদের সংস্কৃতি চিরন্তন। কুম্ভমেলা, যোগাকে আগেই সংস্কৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। এবার দুর্গাপুজোও স্বীকৃতি পেয়ে গেল। গোটা বিশ্ব আমাদের সংস্কৃতি কদর করে'। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এদিকে দুর্গাপুজো ইউনেস্কো স্বীকৃতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিনি বলেন, 'দশ বছর ধরে দুর্গাপুজোকে প্রমোট করতে করতে, ইউনেস্কো পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। এতে অন্য কারও কোনও অবদান নেই। অবদান রয়েছে ক্লাবগুলোর, পুজো কমিটিগুলোর, কোটি কোটি মানুষের। বাংলাকে এত দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই'।