নিজস্ব প্রতিবেদন: দু'দিনের বাংলা সফরে আসছেন অমিত শাহ। বাঁকুড়া ও কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পাশাপাশি রয়েছে একাধিক কর্মসূচিও। জঙ্গলমহলে এক আদিবাসীর বাড়িতে সারবেন মধ্যাহ্নভোজন। পরের দিন, শুক্রবার শাহের দুুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে মতুয়াবাড়িতে।
গত লোকসভা ভোটেই জঙ্গলমহলে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া হয়েছিল গেরুয়াময়। আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে ধস নামিয়েই এসেছিল গেরুয়া শিবিরের জয়। সেই জঙ্গলমহলেই যাচ্ছেন অমিত শাহ। বিধানসভা ভোটের ঠিক কয়েক মাস আগে। জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে শাসক দল। সেই আশায় জল ঢালতে তৎপর বিজেপিও। রণনীতি সাজাতে আসছেন খোদ অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় নামার পর কপ্টারে যাবেন বাঁকুড়ায়। সেখানে বীরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করবেন শাহ। তারপর রবীন্দ্রভবনে সাংগঠনিক বৈঠক। সেখান থেকে চতুরদিহি গ্রামে যাবেন। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ''গোটা দেশের উন্নতি চান অমিত শাহ। জঙ্গলমহলের উন্নয়নও তাঁর নজরে রয়েছে। দুপুরে এক আদিবাসী ভাইয়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন।''
পরেরদিন, ৬ নভেম্বর সকালে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দেবেন অমিত শাহ। তারপর অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক। সকালে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বসবেন। তারপর গৌরাঙ্গনগরে এক মতুয়ার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন।
এ দিন ইজেডসিসি-তে বৈঠক করেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ বিজেপি নেতারা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ''সকালে ও বিকালে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দুটি বৈঠক করবেন অমিত শাহ। অনেকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা।''
আরও পড়ুুন- পাহাড় আবার জ্বলবে, মমতাকে নিশানা মুকুলের; কুর্সির লোভে অশান্তি: কৈলাস