সুতপা সেন: রাজ্যে ফের শুরু হচ্ছে 'দুয়ারে সরকার'। একইসঙ্গে পাওয়া যাবে পাড়ায় সমাধান-এর সুযোগও। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ওই পরিষেবা। তবে এবার দুয়ারে সরকার-এ মিলবে আরও দুটি পরিষেবা। একটি হল, জমির পাট্টার জন্য আবেদন করা যাবে এই শিবির থেকে। আর অন্যটি হল নতুন বিদ্যুত্ সংযোগের জন্য আদেদন করতে পারবেন মানুষজন এবং বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধও করতে পারবেন গ্রাহকরা। শুক্রবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন।
আরও পড়ুন-মিথ্যে বলে ৩ বছর আগে মৃত ব্যক্তির নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি করেন মানিকের স্ত্রী! বিস্ফোরক ইডি
উল্লেখ্য, জমির পাট্টার আবেদন বেশ ঝক্কির কাজ। এক্ষেত্রে দুয়ারে সরকারের শিবিরে এসে বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করতে পারবেন সাধারন মানুষ। পাশাপাশি নতুন বিদ্যুত্ সংযোগের জন্য আবেদনের সুযোগ থাকায় বিদ্যুত্ বন্টন অফিসে দৌড়নোর ঝক্কি কমবে সাধারণ মানুষের। যারা বহুদিন বিদ্যুতের বিল যারা বাকী রেখেছেন তারা কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিল জমা না দিয়ে নিজেরাই তা মেটাতে পারবেন দুয়ারে সরকার-এ এসে।
রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর, একটি নয়া প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। নাম,'দুয়ারে সরকার'। এই নিয়ে পঞ্চমবার রাজ্যে 'দুয়ারে সরকার' ক্য়াম্প বসতে চলেছে। বছর ঘুরলেই আবার পঞ্চায়েত। এবার 'দুয়ারে সরকার' কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে? খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্রেডিট কার্ড-সহ ২৫ সরকারি পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই এই প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন, খাদ্য সুরক্ষা আইনে দুয়ারে রেশনের বৈধতা নেই। বরং এই প্রকল্পটি খাদ্যসুরক্ষা আইন ২০১৩-র বিরোধী। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে খবর।