Home> কলকাতা
Advertisement

Kolkata: গলা অবধি ঋণ! আর সহ্য হচ্ছিল না, স্ত্রী-শাশুড়িকে নিয়ে বিষ খেলেন সঞ্জয়...কিন্তু...

Kolkata: নারায়ণপুর দেবীপার্কে ঘর থেকে মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার, আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামাই আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর্থিক অনটনের কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। ঘুমের ওষুধ খেয়েই আত্মহনন।

Kolkata: গলা অবধি ঋণ! আর সহ্য হচ্ছিল না, স্ত্রী-শাশুড়িকে নিয়ে বিষ খেলেন সঞ্জয়...কিন্তু...

সৌমেন ভট্টাচার্য: ফের দেনার বলি। রাজারহাট নারায়ণপুরে দেবী পার্ক এলাকায় হাড়হিম কাণ্ড। দেনার দায়ে একই পরিবারের তিনজন একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনের মৃত্যু হয়, একজনের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন:Huma Qureshi's Brother Murder: বলি অভিনেত্রী হুমা কুরেশির ভাইকে নৃশংস খু*ন! বাড়ির সামনেই এলোপাথাড়ি কোপ...

রাজারহাট নারায়ণপুর দেবী পার্ক এলাকায় শাশুড়ি এবং স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সঞ্জয় দে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে দেনা হয়ে যাওয়ার কারণে ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। বাজারে একাধিক মানুষজন টাকা পায় এই কারণে ঘরের মধ্যে তিনজন সঞ্জয় সঞ্জয়ের স্ত্রী এবং শাশুড়ি একসঙ্গে ঘুমের ওষুধ এবং পেশারের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শাশুড়ি এবং স্ত্রীর মৃত্যু হয়। মৃত মা(বৃদ্ধা) শিপ্রা রক্ষিত, ৭০ এবং মেয়ে মহুয়া দে (৪২)। দেহ উদ্ধার করে নারায়ণপুর থানার পুলিস। ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে সঞ্জয় এখন আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও জানা গিয়েছে, নিঃসন্তান ছিলেন দম্পতি মহুয়া দে এবং সঞ্জয় দে। আর্থিক অনটনের কারণে তাঁরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট।

আরও পড়ুন:Gurugram Shocker: ছিঃ! ছিঃ! যুবতীকে দেখে প্রকাশ্য রাস্তাতেই হ*স্তমৈ*থুন যুবকের! ভিডিয়ো শেয়ার তরুণীর...

প্রসঙ্গত, ১ জুলাই হাওড়ায় একই ধরণের ঘটনা সামনে আসে। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু। প্রচুর টাকার ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা বলে পুলিসের অনুমান।

জগাছা থানার অন্তর্গত হাটপুকুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ। স্বামী, স্ত্রী ও তাদের একমাত্র সন্তানের দেহ। এরা হলেন বলরাম খাঁ(৬৫),শেলী খাঁ(৫৫)ও সমব্রিত খাঁ(৩২)। ওদিন সকালে শেলী খাঁ-এর বোন স্বাতী মিত্র ফ্ল্যাটে আসেন। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল বলেই জানান তিনি। খবর পেয়ে আসে জগাছা থানার পুলিস।

দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিস। দেখা যায় স্বামী,স্ত্রী একটি ঘরে ও পাশের ঘরে বিছানার মধ্যে ছেলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে ।মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান বিষাক্ত কিছু খেয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা। স্বাতী মিত্র জানান রোজই কথা হত। গত রাতে কয়েকবার ফোন করে না পাওয়ায় আজ সকালে দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি। কোনও ঝামেলা অশান্তির কথা জানা যায়নি।

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More