জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহিলা পুলিস কর্মীর শুভেন্দু অধিকারীকে গায়ে হাত দিয়ে গাড়িতে উঠতে বলা নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নবান্ন অভিযানে শুভেন্দুকে আটকের সময়ে এক মহিলা পুলিসকর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়ে গাড়িতে উঠতে বলেন। শুভেন্দু তাঁকে থামিয়ে দেন। তিনি বলেন ডোন্ট টাচ মাই বডি। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসি মস্করার অন্ত নেই। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারে আহত হয়েছেন পুলিস কর্মী দেবজিত্ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর হাত ভেঙেছে। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে আহত দেবজিত্ বাবুকে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক নিশানা করেন শুভেন্দুকে। তিনি বলেন, বিজেপি বলে মহিলাদের আমরা মা দূর্গা বলে মনে করি। তাহলে শুভেন্দুর মহিলা পুলিসে আপত্তি কিসের? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ ফুফু, খালা বললে আপত্তি কিসের!
আরও পড়ুন-আমি যদি পুলিস হতাম, কপালে গুলি চালাতাম: অভিষেক
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। টেনে আনেন লকেট-রাহুল প্রসঙ্গ। অভিষেক বলেন, ওঁর গায়ে এত জ্বালা কেন? মেল পুলিস টাচ করবে, ফিমেল পুলিস টাচ করবে না। এর মানে কী? আমিতো বুঝতে পারেছি না বিজেপির কী অবস্থা। কালকে যে ছবি আমি দেখতে পেয়েছি লালবাজারে, লকেট চট্টোপাধ্যায় রাহুল সিনহার হাতে হাত দিয়ে বসে রয়েছেন। এসবের মানে কী আমি জানি না। প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে নিজের মতো করে থাকার। এনিয়ে সমালোচনা করতে চাই না। এটাই বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি। আপনি কাকে ভালোবাসবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন, কী খাবেন, কী পরবেন, কোথায় হাঁটবেন, কার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তা একেবারেই আপনার নিজস্ব ব্যাপার। এটাই বাংলা। আমি সম্মান জানাই। কিন্তু এই দৃশ্য তো আমি দেখিনি!
বিজেপি নেতাদের লালবাজারের ছবি নিয়ে বিভিন্ন মিমও চলছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়
অভিষেকের ওই মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, অভিষেক নিম্নরুচির কথা বলেছেন। আদিরসাত্মক ইঙ্গিত দিয়েছেন। ভয়ঙ্কর দিন আসছে। নব তৃণমূলের পুলিস মানুষের কপাল লক্ষ্য করে গুলি করবে। ট্রিগার হ্যাপি পুলিস। পুলিসের ওপর আক্রমণ নিয়ে আমরা সংবেদনশীল। তৃণমূল লোক ঢুকিয়ে বিশৃঙ্খলা করবে আগেই বলেছিলাম। আগামিদিনে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার করে ভয় দেখানো যাবে না। কালীপুজোর পর জেলায় জেলায় জেল ভরো আন্দোলনে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।
পুলিসের উপরে হামলার কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, 'বিচার বিভাগের একাংশের মদতে বিজেপির গুণ্ডাদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এটা নজিরবিহীন, এর আগে এমন ভারতে হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, হাইকোর্ট থাকতে, বিচারপতি থাকতে, বিচারব্যবস্থা থাকতে, এই ঘটনা ঘটে কি করে? যাঁরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে আমাদের নজর থাকবে'।