জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাত পোহালেই আরজি কর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি। ফের নবান্ন অভিযানের ডাক। সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার সাফ জানিয়ে দিলেন, 'নবান্ন রাজ্য সরকারের সচিবালয়। সেই হিসেবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। হাওড়া পুলিসের তরফে নবান্ন সংলগ্ন এলাকা ১৬৩ জারি করেছে। যেটা আগের আইনে ১৪৪ ধারা বলে পরিচিত ছিল। নবান্ন লাগোয়া এলাকা কোনও প্রতিবাদ, জমায়েত, মিছিল নিষিদ্ধ'।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'SIR-এর নামে ভোটাধিকার বাদ গেলে, এক লক্ষ বাঙালিকে নিয়ে কমিশন ঘেরাও করব' !
দক্ষিণবঙ্গের এডিজি জানান, 'আদালত বলেছে. এই প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য় বিকল্প জায়গা চিহ্নিত করে সংগঠকদের জানাতে পারে। আদালতের সেই নির্দেশ মেনে হাওড়া পুলিস সাঁতরাগাছি বাসস্ট্য়ান্ডকে চিহ্নিত করেছে। আগামীকাল প্রতিবাদ কর্মসূচি আইনি ও শান্তিপূর্ণভাবে সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডে করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। কোথাও কোনও অসুবিধা নেই। কলকাতা পুলিসের রানি রাসমনি অ্যাভিনিউকে বিকল্প জায়গা হিসেহে চিহ্নিত করা হয়েছে'।
সুপ্রতীম সরকারের আরও বক্তব্য, 'সংগঠক ঠিক কারা, তা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। সমাজমাধ্যম ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু নাম পেয়েছি। নামগুলি বলছি না। যাঁরা সমাজমাধ্যমে প্রচারে গতবারের মতোই খুবই সক্রিয়, সেরকম কয়েকজন চিহ্নিত করে আমরা হাওড়া পুলিসের তরফে এই বার্তা লিখিতভাবে জানিয়ে দিচ্ছি'। সঙ্গে আবেদন, 'আপনারা প্রতিবাদ কর্মসূচি রাজ্য সরকারে নির্দিষ্ট জায়গায় আইন মেনে গণতান্ত্রিকভাবে পালন করুন। এবং আমাদের জানান, যাতে ব্যবস্থা করতে সুবিধা হয়। কত বাস আসবে, কোথা থেকে লোক আসবে। কিন্তু যদি আইন অগ্রাহ্য করে আদালতে নির্দেশ নেমে হিংসাত্বক প্রতিবাদের চেষ্টা হয়, তাহলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে'।
এদিকে এই নবান্ন অভিযানের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। আজ, শুক্রবার মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচাররতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চে। শুনানিতে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, 'নবান্ন অভিযানের কথা সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন পোস্টার থেকে জানতে পেরেছি। কিন্তু কারা নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছেন? মিছিলের দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। তাহলে বিশৃঙ্খলা হলে দায় কে নেবে'?
হাইকোর্ট অবশ্য নবান্ন অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়নি। বিচারপতি সুজয় পাল বলেন, 'প্রতিবাদ করার অধিকার মৌলিক অধিকার। তবে রাজ্যের কাছে তাদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা পথ খোলা আছে। আয়োজকদের বিকল্প জায়গা জানাবে পুলিস। সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি করা যাবে না। পুলিসকে আক্রমণ করা যাবে না'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)