ওয়েব ডেস্ক: শঙ্কুদেব পণ্ডার বয়ান যাচাই করতে আড়াই ঘণ্টারও বেশি মদন মিত্রকে জেরা করল সিবিআই। আজ আলিপুর আদালতে আইনজীবীর উপস্থিতিতে মদনকে জেরা করেন সিবিআই। সূত্রের খবর, জেরায় নতুন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন মদন মিত্র। সারদা ছাড়াও অন্য চিটফান্ডের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ নিয়েও এদিন মদনকে জেরা করে সিবিআই।
সারদা প্রতারণায় শঙ্কুদেব পণ্ডার বয়ানের সত্যতা খতিয়ে দেখতে মদন মিত্রকে জেরা করার প্রয়োজন। আদালতে এই মর্মে আবেদন জানায় সিবিআই। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মদনকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি মঞ্জুর করে আদালত। সেই মত সোমবার দুপুরে আলিপুর জেলে পৌছন সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফণীভূষণ করণ এবং তথাগত বর্ধন। দুপুর দেড়টা থেকে শুরু করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে জেরা।
সূত্রের খবর, জেরায় শঙ্কুদেব মদন মিত্র ছাড়াও তৃণমূলের এক রাজ্যসভার সাংসদের নাম উল্লেখ করেন। সেব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় মদন মিত্রের কাছে। সারদা ছাড়াও অন্য বেশ কয়েকটি চিটফান্ডে যোগসাজশ নিয়েও মদন মিত্রকে জেরা করে সিবিআই। জেরায় মদন মিত্র সহযোগিতা করেছেন বলে খবর। সিবিআইকে নতুন তথ্যও দিয়েছেন তিনি। তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতিতেই মদন মিত্রকে এদিন জেরা সিবিআই। প্রযোজনে ফের তাঁকে জেরা করা হতে পারে বলে মদন মিত্রকে জানায় সিবিআই।
সারদা প্রতারণায় অন্য অভিযুক্ত শান্তুনু ঘোষকেও এদিন জেরা করে সিবিআই। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অপর অভিযুক্ত মনোরঞ্জনা সিংকে সোমবার জেরা করা সম্ভব হয়নি।