নিজস্ব প্রতিবেদন: সারদা মামলায় নয়া মোড়। তদন্তে নতুন একটি ভয়েস রেকর্ডিং হাতে এসেছে CBI-এর। সেই ভিডিও রেকর্ডিং-এর ভিত্তিতে এবার জেলে গিয়ে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের জেরার অনুমতি দিয়েছে নিম্ন আদালত। কলকাতা হাইকোর্টে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের শুনানিতে এমনটাই জানানো হয়েছে CBI-এর তরফে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ভয়েস রেকর্ডিং চিটফাণ্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এদিকে আবার এদিন গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য এক ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে সিবিআই দফতরে। তিনি আবার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। আট সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: শহরে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পে প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন মমতা ব্যানার্জী!
বছর ঘুরলেই ভোট। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের সারদা মামলা নিয়ে তৎপরতা বাড়ছে CBI-এর। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় জামিনের আর্জি জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতি জানতে চান, 'তদন্তে এত দেরি হচ্ছে কেন? কুণাল ঘোষ যদি জামিন পেতে পারেন, তাহলে দেবযানী মুখোপাধ্যায় কেন পাবেন না?' CBI-এর বক্তব্য, কুণাল ঘোষ মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি সারদা গোষ্ঠীর বেতনভূক কর্মী ছিলেন। দেবযানী ও কুণালের বিষয়টি এক নয়। এরপরই নয়া ভয়েস রেকর্ডিং-এর বিষয়টি আদালতকে জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী। সওয়াল-জবাব শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিবিআই-এর জেরা পর্ব শেষ হলে, ৮ সপ্তাহ ফের দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।
আরও প়ড়ুন: ৩ দিনের মধ্যে চাইতে হবে ক্ষমা, এই মর্মে অভিষেককে আইনি নোটিস দিলীপের
উল্লেখ্য়, তৃণমূল জমানার গোড়ার দিকে সারদাকাণ্ড তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। ২০১০ থেকে ২০১২, মাত্র দু'বছরেই ফুলেফেঁপে ওঠে সারদার ব্যবসা। সারদার পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তি ও ব্যবসা সবটাই আমজনতার লগ্নি করা টাকায় বলে অভিযোগ। ২০১২ সালে সেবির নির্দেশ উপেক্ষা করেই চলতে থাকে। শেষপর্যন্ত ২০২৩ সালে আচমকাই ধস নামে সারদা গোষ্ঠীতে। প্রায় ১৭ লক্ষ লগ্নিকারীর ২৪৬০ কোটি টাকা এক ঝটকায় অন্ধকার চোরাবালিতে হারিয়ে যায়।