পিয়ালী মিত্র: পটনা কাণ্ডে জি ২৪ ঘণ্টার সুপার এক্সক্লুসিভ। রাঁচি থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে আসে তৌসিফ বাদশা। চন্দন খুনে যাকে অস্ত্র হাতে খুনী গ্যাংকে লিড করতে দেখা যায় সিসিটিভিতে। খুনের পর রাঁচি থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে প্রথমে সাপুরজি যায় তাদের গাড়ি। প্রধান অভিযুক্ত তৌসিফ, নিসু খান সহ চারজন গ্রেফতার। কলকাতা পুলিসের এসটিএফের সহযোগিতায় জানাল বিহার পুলিস। নিশু খানের বাড়িতে বসে খুনের পরিকল্পনা।
In an intelligence-based operation by Kolkata Police STF , four persons involved in the Chandan Mishra murder case of Patna have been taken into custody. Bihar Police is taking necessary legal action to produce the accused before the competent Court.
— Kolkata Police (@KolkataPolice) July 20, 2025
আরও পড়ুন:Bengal Weather Update: সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! ভাসবে কোন কোন জেলা? আবহাওয়ার বড় আপডেট...
তিন জায়গার সিসিটিভির সুপার এক্সক্লুসিভ ফুটেজ জি ২৪ ঘণ্টার হাতে। গাড়ি চালকের আসনের সিটে বসে তৌসিফ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। পরনে খুনের সময় পরে থাকা সাদা প্রিন্টের শার্ট।
১৭ জুলাই পারস হাসপাতালে খুন দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্রকে। তারপরই BR 01FX4109 নম্বরের সাদা গাড়ি থেকে করে এরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা তৌসিফরা। ১৭ জুলাই দুপুর ২ টা ৪১ মিনিট ১৬ সেকেন্ড রাঁচির ভামরি এলাকায় সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সেই গাড়ির ছবি। এরপর ১৭ জুলাই রাত ২২: ১৭:৩৩ সেকেন্ডে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ পাড় করে গাড়িটি।
১৮ জুলাই রাত ০০:১৪.৪ সেকেন্ড সাপুরজি আবাসনে যায় ওই গাড়ি। কলকাতা পুলিসের ANPR ক্যামেরা সূত্রে দেখা যায় গভীর রাতের কলকাতার দিকে আসে গাড়িটি। তদন্তকারীদের দাবি, পরে আনন্দপুর এলাকার গেস্ট হাউসে ওঠে তারা।
আরও পড়ুন:Arambag: গাড়ির ভিতর চলে নারকীয় অত্যাচার! বড় বোনকে লাগাতার ধ*র্ষ*ণ, রেহাই পায়নি ছোটও...
১৯ জুলাই সাপুরজি থেকে দুজনকে আটক করা হয়, যাদের দুজনের নাম অভিষেক ও সেতু। জানা গিয়েছে, M ব্লকে ৪০৬ যেই ফ্ল্যাটটি এই দুজন থাকছিল এই আবাসনে সেটি প্রায় মাস ছয়েক আগে ভাড়া নেওয়া হয়। একজন তরুণীও থাকছিল এই ফ্ল্যাটে যদিও তাকে আটক করা হয়নি তবে তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাশেই এম ৭২ এর ২০৬ ফ্ল্যাট থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। অভিষেক বিহার ও সেতু ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
মেন শুটার তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশা ও তার সঙ্গীদের কলকাতা থেকে ধৃতরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছিল বলে বিহার পুলিসের অভিযোগ।মূলত তাদের ফোন ট্র্যাক করে এখানকার লোকেশন পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ তারপরেই অভিযুক্তদের নিউটাউন থেকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ এডিজি কুন্দন কৃষ্ণ শুক্রবার জানিয়েছিলেন, চন্দনের হত্যা শরু সিংয়ের গ্যাংয়ের লোকজনই করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)