জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছাব্বিশের আগে বাঙালি আবেগে শান! 'বাংলাতেই কথা বলব, পারলে আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরুক', ভিন রাজ্য়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিরুদ্ধে এবার ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'কী ভেবেছেন দিল্লিওয়ালারা, দেশের জামিদারি নিয়ে নিয়েছেন! যা খুশি, তাই করবেন'।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, 'আমাদের এখানে যে অবাঙালিরা আছে, তাঁদের উপরে অত্যাচার করতে দেব না। তেমনি বাঙালিদের উপরেও অত্যাচাক করতে দেব না। বাংলা বললেই বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা বলে দিচ্ছেন! বাংলাদেশ তো আলাদা দেশ, রোহিঙ্গা তো মায়ানমারে থাকে। আমাদের এখানে কী! পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক, আইডি কার্ড আছে। আধার কার্ড আছে, প্যান কার্ড। বাইরে এমনি এমনি কাজ করছে না, দক্ষতা আছে। দক্ষতা আছে, তাই ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউ সোনার কাজ করে, কেউ নির্মাণের কাজ করে. কেউ ব্রিজ বানায়'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যে গরিব লোকগুলি কাজ করার জন্য এখান থেকে যায়, তাঁদের অনেক কষ্ট করতে হয়। বাংলায় থাকলে অনেক ভালো থাকতে পারে। তাঁদের দিয়ে কাজ করাবে, আর বাংলা ভাষায় কথা বললেই জেলে নিয়ে চলে যাবে। কেন? কোন অধিকারে? পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশ নয়! অনেক দেশ আছে, একই ভাষায় কথা বলে। তার এই নয় যে, তাদের জেলে ভরে দাও'। মনে করিয়ে দেন, 'পঞ্জাবি রাজ্য আরও অনেক দেশে আছে। ওদের সঙ্গে যদি এমন করে, তার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলব। মহারাষ্ট্র থেকে যখন হিন্দিভাষীদের বের করে দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমরা প্রথম আওয়াজ তুলেছিলাম। এটা বুঝতে হবে'।
ওড়িশাই হোক কিংবা দিল্লি, বিজেপিশাসিত রাজ্য়গুলি লাগাতার বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ উঠছে। বাংলা বললেই নাকি অত্যাচারিত হতে হচ্ছে! বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। দিন কয়েক আগে এক্স হ্যান্ডেলে এবিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার রাজ্য়ে বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন অভিষেকও।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)