অয়ন ঘোষাল: এক্ষুনি আদালতে যাচ্ছি না। আজ রাতে পুলিস কি করে দেখে নেব। আজ যেকোনও মূল্যে আমরা খাদ্য ভবনে রাতে ধরণা অবস্থান করে ছাড়ব। যদি পুলিস লাঠি চালায়, চালাক। সরকারি কর্মীরা সরকারি অফিসে রাতে ধরণা দেবেন কিনা, তা ঠিক করার এক্তিয়ার পুলিসের নেই।
খাদ্য ভবনে কর্মরত খাদ্য দফতরের ডাইরেক্টরেটের কর্মচারীদের সারপ্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ডাইরেক্টোরেট অফিসে যা কাজ আছে তার তুলনায় কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। তাই এই 'সারপ্লাস' কর্মচারীদের বদলি (ডিটেইলমেন্ট) করে পাঠানো শুরু হলো আঞ্চলিক বা রিজিওনাল অফিসগুলোতে যেখানে এই কর্মচারীদের পদ নেই।
ওই রিজিওনাল অফিসগুলোয় যে পদগুলো খালি ছিলো সেগুলিতে লোক নিয়োগ না করে সেখানেই এই কর্মচারীদের নিয়ে যাওয়া হলো কাজ করানোর জন্য। এমনই অভিযোগ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের।
আরও পড়ুন: চুরি করা ফোন-ল্যাপটপ দাম দিয়ে কিনত রিসিভার নিজামউদ্দিন! চিরকুটের নাম্বারে পর্দাফাঁস চক্রের
রাজ্য সরকার সুকৌশলে এভাবেই ১৪০০ পদ বিলোপ করে দেবার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। মার্চ মাসের প্রশাসনিক ধর্মঘটে লক্ষ্যণীয় ভাবে নগণ্য উপস্থিতি ছিল খাদ্য ভবনে। এরপরই খাদ্য ভবনের সরকারি কর্মী, যারা ডিএ না পেয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলনে নেমেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা মুলক মনোভাব নিয়ে সরকার এভাবে পদ বিলোপ করতে চাইছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন: Regent Park: সাময়িক উত্তেজনা, নাকি পূর্ব পরিকল্পনা? রিজেন্ট পার্কে তরুণের মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন
সেই প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই খাদ্য ভবনের বারান্দায় শুরু হয় ধরণা অবস্থান। কিন্তু অফিস আওয়ার শেষ হতেই সেখানে পৌঁছায় নিউ মার্কেট থানার পুলিস। যেহেতু অফিস বন্ধের সময় হয়ে গেছে, তাই অফিস চত্বর খালি করে দিতে বলে পুলিস। বেঁকে বসে যৌথ মঞ্চ। তারা পুলিসের কাছে ধরণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জমা দেন।
সেই আবেদন নিউ মার্কেট থানা খারিজ করে দেয়। শুক্রবার টিফিন আওয়ারের পরে ফের খাদ্য ভবনে ধরণা শুরু করতে চলেছে যৌথ মঞ্চ। কালকের মতো আজ বিকেলের পর পুলিস ধরণা তুলতে এলেও তারা সেখানেই অনড় অবস্থানে বসে থাকবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।