অয়ন ঘোষাল: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাবেন দিলীপ ঘোষ। ১৮ তারিখ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাবেন দিলীপ। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব বেড়েছে দলে। তবে বিজেপির তরফে এখনও জনসভায় যাওয়ার জন্য কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমাকে কেউ আমন্ত্রণ করেনি। ওখানকার কর্মীরা আমাকে নিমন্ত্রণ করেছে, দিলীপ দা আসুন.. একসঙ্গে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনব। সেই হিসেবে কর্মী হিসেবে ওখানে যাচ্ছে কোন নেতা অধিকারী হিসেবে নয়।'
তাহলে কি মঞ্চে থাকবে দিলীপ ঘোষ? বিজেপি নেতার বক্তব্য, মঞ্চে থাকার কথা পার্টি বলবে, পিএমও ঠিক করবে। এখনও মঞ্চে থাকার কথা কেউ বলেনি। দিলীপ ঘোষ বেশ কয়েক বছর কর্মী হিসেবে থাকে কর্মীদের সঙ্গে থাকে সভা সমিতিতে উপস্থিত থাকে কর্মী হিসেবে। আমার কাছে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপির তরফে কোনও ইনফরমেশন আসেনি।
পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর সভায় না যাওয়া
ইলেকশনের সময় অনেক জায়গায় সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি তখন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন কিন্তু অত দূরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কর্মীরা ডেকেছে আমাকে দুর্গাপুরে সেখানে চলে যাব। সবার জন্য কোন আমন্ত্রণপত্র হয় না হাজার হাজার লোক আসবে। জানাবেন, মিডিয়ায় জেনে লোক আসবে পার্টির কর্মী এমনভাবেই আসবে, আমিও যাব।
মঞ্চের নিচে দিলীপ স্বস্তিতে থাকতে পারবে রাজ্য নেতৃত্ব?
একাধিক বার নিচে বসেছি আমি। বারাসাতে বসেছি নিচে। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর র্যালিতে আমি সামনে হাঁটিনি, পদাধিকারীরা হেঁটেছে। আমি বেড়ার পাশে দাঁড়িয়েছি কর্মী হিসেবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়েছে আমি পালন করেছি কর্মী হিসেবে। কেউ ডাকুক বা না ডাকুক প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে মঞ্চে কে থাকবে সেটা প্রোটোকলের ব্যাপার।
সংগঠনিক কাজে দিলীপ ঘোষ
গোটা বাংলায় আমি যাই ঘুরতে থাকি ভোট আসে যায় কখনও সফলতা আসে কখনও আসে না। সংগঠনের লোক সংগঠন করতে ভালোবাসি। দিলীপ ঘোষ তৈরি আছে কর্মীদের মাঝখানে আছে রাস্তায় আছে। এখনো সুস্থ সবল আছি। যে কাজ পার্টি দিয়েছে চেষ্টা করেছি পালন করার। আমাকে যেভাবে ব্যবহার করবে আমি তৈরি আছি। ম্যায় হু না। গত ১০ বছর ধরে পাটির প্রগতি হয়েছে অমিত শাহের নেতৃত্বেই হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পার্টি ক্ষমতায় আসছে আমরা লড়ব। অমিত শাহ লড়াকু নেতৃত্ব।
২১ শে জুলাই জল্পনা
এই গুঞ্জন প্রতিবছর হয়। ডিম ভাতের উৎসব হয় তৃণমূলের। গুঞ্জন জল্পনা উৎসাহ তাদের ছিল যারা ওখানে ডিম ভাত খেয়ে এসেছে। বিজেপির লোকের কোন সমস্যা নেই এ নিয়ে।
আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল
অনুপ্রবেশকারীদের দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুকে কষ্ট হয়। পেটের ভাতের জন্য অন্য রাজ্যে বিদেশে বাঙালি যাচ্ছে আর মরছে। বাংলায় কত জন বাঙালি মারা গেছে সেটা দেখুন। তৃণমূলের মধ্যে মারামারি করে কতজন মরেছে দেখুন। দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য অপর্মণ্যতাকে চাপা দেওয়ার জন্য এটা করছে। আপনি খেতে দিন তাহলে কোন বাঙালি বাইরে যাবে না। বাঙালির জন্য নয় বাংলাদেশীদের জন্য কষ্ট। অযোগ্যতার দায় অন্যদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব করছে ওদের দয়ায় বেঁচে আছে এই সরকার। এপার বাংলায় বাঙালি হিন্দু মুসলমানদের জন্য কোন চিন্তা নেই।
তৃণমূল খুনে গ্রেফতার তৃণমূল
তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন হচ্ছে, গ্রেফতার হচ্ছে, এটা বড় কথা নয়। তার বাড়ির লোক এই তদন্তে সিবিআই চলছে এটা আরও বিড়ম্বনা। পুলিসের উপর ভরসা করে না তারা। এই সরকার এই পুলিস দুটোর উপর কারও ভরসা নেই। এদিকে কুণাল ঘোষের বক্তব্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমার কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই, কখনও চাইনি। আমার আমলেই এরা সবাই এসেছে তাদের নিয়ে পার্টি কাজ করে এগিয়েছে। এখন এগোচ্ছে না কেন প্রশ্ন উঠছে, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: ভিনরাজ্য়ে বাঙালিদের 'হেনস্থা'র প্রতিবাদে পথে তৃণমূল, মিছিল হাঁটবেন মমতা-অভিষেক...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)