নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্যাংরায় রহস্যজনকভাবে খুন হলেন একই পরিবারের দুজন। প্রচণ্ড আঘাতে দুজনেরই মুখ থেঁতলে গিয়েছে। একজন পড়ে উঠোনে। অন্যজনের দেহ পড়ে দরজার সামনে। বাড়ির সদর দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সবেমিলিয়ে ট্যাংরায় জোড়া খুন নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য।
আরও পড়ুন-বাজার চাঙ্গা করতে করছাড়; রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ৭০,০০০ কোটি, ঘোষণা সীতারমনের
শুক্রবার রাতে খুন হন ওই দুজন। সম্পর্কে এরা শ্বশুর ও পুত্রবধূ। শ্বশুর লি কা সিয়ংয়ের বয়স ৮৯ ও পুত্রবধূ মি হা-র বয়স ৬০ বছর। বহুদিন ধরে এরা থাকতেন ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের বাড়িতে। লি কা এক সময় পুরোহিতের কাজ করতেন।
এদিন সন্ধেয় বাইরে খেতে গিয়েছিলেন মি হা-র স্বামী লি ওয়াং(৬৬)। ঘরে ফেরেন সন্ধে সাড়ে আটটা নাগাদ। ফিরে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। বারবার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে কোনও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। প্রতিবেশী এক যুবক এসে পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকে দরজা খুলে দেন। তার পরেই সবাই দুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখাতে পান। দেহ উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেল তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে ট্যাংরা থানার পুলিস। চলে আসেন ডিসি দেবস্মীতা দাস ও গোয়েন্দাপ্রধান মুরলিধর শর্মা। তারা এসে দেখেন উঠোনে পড়ে রয়েছে একটি লোহার বালতি। মহিলা ও বৃদ্ধের মুখ ও মাথা পুরোপুরি থেঁতলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলকে ছাড়, বিজেপিই পয়লা শত্রু, বামেদের সঙ্গে জোট-নির্দেশ দিয়ে বার্তা সনিয়ার
বাড়ির দরজা বন্ধ। তার মধ্যেই কী ভাবে দুজন কীভাবে খুন হলেন তানিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিস জানিয়েছে ঘর থেকে কোনও জিনিস চুরি যায়নি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে মোবাইলের কলসিস্টও।
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, লি কি সিংয়য়ের বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। ৭০-৮০ বছর এর এখানে রয়েছেন। বাড়ির ছেলেরা থাকে কানাডায়। এখন আততায়ী পাঁচিল টপকেই বাড়িতে ঢুকেছিল নাকি পরিবারের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাকে দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।