১০ টা ০৯: প্রেসিডেন্সি জেলে নতুন সুপার। দায়িত্ব নিলেন সুদীপ্ত চক্রবর্তী। ডি আই জি কারা ছিলেন তিনি। নবীন সাহার যায়গায় এলেন সুদীপ্ত। কুণাল কাণ্ডে আজই সাসপেন্ড করা হয় নবীব সাহাকে ।
কলকাতা: ৮টা ১৩: কারা দফতর সূত্রে খবর, সুদীপ্ত সেনের সেল থকে উদ্ধার বাজেয়াপ্ত বহু ওষুধ। সুদীপ্তর কাছে ছিল বহু ওষুধ।
TIME LINE:
দিন তিনেক আগে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। আজ প্রেসিডেন্সি জেলের ভিতরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে জেল সুপার, কুণালের সেলের কারারক্ষী এবং চিকিত্সককে।
অনিদ্রার কারণে জেলের ডাক্তাররাই কুণাল ঘোষকে ঘুমের ওষুধ খেতে পরামর্শ দেন। সেই মত প্রতিদিনই ঘুমের ওষুধ খেতেন কুণাল। ঘুমের ওষুধের স্ট্রিপ নিজের কাছেই রাখতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে কুণাল ঘোষকে ঘুমোতে যেতে দেখেছিলেন কারারক্ষীরা। ATTEMPTS SUICIDE
রাত ২:১৫
তখনই অস্বাভাবিক অবস্থায় কুণাল ঘোষকে পড়ে থাকতে দেখেন কারারক্ষীরা। তাঁর পাশে পরে রয়েছে একটি ঘুমের ওষুধের স্ট্রিপ। কুণাল ঘোষের কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতেই পাওয়া যায় সুইসাইড নোট। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় জেল হাসপাতালের চিকিত্সকদের।
রাত ২:৩০
সামান্য পরীক্ষার পরই জেল হাসপাতালের চিকিত্সক বুঝতে পারেন, অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ এক সঙ্গে খেয়ে নিয়েছেন কুণাল। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন জেলের চিকিত্সক।
রাত ৩ টে
প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কুণাল ঘোষকে।
রাত ৩:৩০
এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কুণাল ঘোষকে। তাঁর পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়।চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, কুণাল ঘোষের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি আচ্ছন্ন রয়েছেন। তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড জেল সুপার, জেলের চিকিত্সক এবং কর্তব্যরত কারারক্ষীরা। সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানো হয়। এ ক্ষেত্রে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিসি ডিডি টু সুরঞ্জিত রায়কে। হেস্টিংস থানায় কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।