নিজস্ব প্রতিবেদন: রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল দমদমে সিপিএমে প্রাক্তন কাউন্সিলর মালবিকা সেনের নাতির। মারাত্মক আহত তাঁর মেয়ে পৌলমী ও মালবিকা নিজে। ছাদ থেকে লাফিযে নীচে পড়ায় মারাত্মক আহত হন পৌলমী। দুজনেই বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন-উলটপুরাণ! ওয়েইসির সঙ্গ ছাড়লে চন্দ্রশেখরকে সমর্থন করবে বিজেপি
রবিবার সন্ধেয় ওই ঘটনা ঘটে দমদমের এন সি গার্ডেন রোডে। রাতেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন এই ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। প্রথমত, মালবিকার নাতি আট বছরের আথান আব্রামকে শ্বাসরোধ করে খুন করল কে? দ্বিতীয়ত, পৌলমী বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন নাকি তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। যদি তাই হয় তাহলে তাঁর পেটে গভীর ক্ষত কীসের। তৃতীয়ত, মালবিকাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দিল কে?
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছিল, ছেলে আথানকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর হাতের শিরা কেটে বাড়ির ছাদ থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পৌলমী। কিন্তু পৌলমীর পেটে একটি ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। হাতের শিরা কাটা। অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে মালবিকা সেনের হাতেও।
আরও পড়ুন-রাজ্যের আমলাদের মমতা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের অফিসার বললেন কৈলাস
পুলিস এখন ধন্দে। পুলিসের মতে দু'টি সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। প্রথমত, নিজের ছেলেকে খুন করেন পৌলমী। তাকে বাঁচতে এলে নিজের মাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেন। কারণ, দোতলা থেকে নীচে পড়লে যে ধরনের আঘাত থাকার কথা, তা পৌলমীর দেহে নেই। তবে বাইরের কারও জড়িত থাকার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। আহত পৌলমী ও মালবিকা বর্তমানে চিকিত্সাধীন। সুস্থ হলে তাদের জেরা করবে দমদম থানার পুলিস।