নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার দেশজুড়ে চিকিত্সায় ভোগান্তির আশঙ্কা। জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা হাসপাতালের আউটডোর ও প্রাইভেট চেম্বার বন্ধের ডাক দিয়েছে আইএমএ। যার জেরে বন্ধ থাকবে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর, প্রাইভেট চেম্বার। দেশজুড়ে চরম রোগী দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকছে এর ফলে।
মেডিক্যাল এডুকেশনের খলনলচে বদলাতে নয়া নিল আনছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল নামে এই বিলকে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পেশ হয়েছে লোকসভাতেও। কিন্তু, বিলে আপত্তি দেশের চিকিত্সকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন আইএমএর।
কী রয়েছে এই বিলে?
এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিত্সকরা। তাঁদের আশঙ্কা, বিল লাগু হলে চিকিত্সকদের ওপর ছড়ি ঘোরাবেন আমলারা। আপত্তির জায়গা আরও রয়েছে।
কার্যত এর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব আইএমএ। এবার সরাসরি সংঘাতে নামল দেশের সবচেয়ে বড় চিকিত্সক সংগঠন। মঙ্গলবার দেশজুড়ে ১২ ঘণ্টা আউটডোর ও প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে তারা। তবে, জরুরি পরিষেবা, অস্ত্রপচার ও ইন্ডোরে স্বাভাবিক ছন্দেই কাজ হবে। দলমত নির্বিশেষে আইএমএর পাশে দাঁড়িয়েছে সবকটি চিকিত্সক সংগঠন।
ধর্মঘটের জেরে কতটা ভোগান্তিতে পড়তে চলেছি আমি বা আপনি?
রাজ্যে আইএমএর রেজিস্ট্রার্ড চিকিত্সকের সংখ্যা ৭৩ হাজার। যার মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকের সংখ্যা ১৪ হাজার। এঁদের বেশিরভাগই ধর্মঘটে সামিল হলে, পরিষেবায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বড়সড়। আশঙ্কার মেঘ দেখছেন চিকিত্সকরা। কাজেই ভোগান্তি যে হতে চলেছে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন- দলনেত্রীর পরামর্শে ওজন কমিয়ে 'স্লিম ট্রিম' হচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়