শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: জাগো বাংলায় 'জায়গা' করে নিলেন দিলীপ ঘোষ। শুধু 'জায়গা' করে নিলেন বললেও কম বলা হবে, বরং বলা ভালো দিলীপ ঘোষের প্রশংসা এবার জাগো বাংলায়! 'ভোটের লড়াইয়ে সফল দিলীপ ঘোষ...' তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয় ঠিক এইভাবেই দিলীপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ! এখানেই শেষ নয়। 'ভোটের লড়াইয়ে সফল' দিলীপ ঘোষকে গেরুয়া শিবিরে এখন 'কোণঠাসা' করার চেষ্টা চলছে। এমনও বলা হয়েছে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দিলীপ প্রসঙ্গে অন্য মনোভাব নিচ্ছে তৃণমূল? যদিও 'খালি কলসি' শিরোনামে সম্পাদকীয়র মূল বক্তব্য, বিজেপির ঘরে গোষ্ঠীকোন্দল ইস্যু। কিন্তু পদ্মশিবিরকে কটাক্ষ করলেও, তারমধ্য়েই যেন দিলীপে আলাদা সমীহ!
শুধু তাই নয়। দিলীপ ঘোষকে 'কোণঠাসা' করার চেষ্টার জন্য কড়া সমালোচনা করা হয়েছে অমিত মালব্য সহ সুকান্ত মজুমদারের। বলা হয়েছে, আড়াই -তিন বছর রাজনীতিতে এসেই সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। আর তারপরই 'ধরাকে সরা জ্ঞান' করছেন। দিলীপ ঘোষের পিছনে 'হাত ধুয়ে লেগে' পড়েছেন। এদিকে তাঁর ভোটে জেতার ক্ষমতা নেই! জামানত জব্দ হওয়া ছাড়া আজ পর্যন্ত ভোটে জেতেননি! কিন্তু তাঁর প্ররোচনাতেই কাজ করছেন অমিত মালব্য! একইসঙ্গে নাম না করে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীরও। শুভেন্দুকে 'দলবদলু, গিরগিটি, পেগাসাস' বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। যেও কিনা দিলীপকে কোণঠাসা করার প্রতিযোগিতায় সামিল রয়েছে।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে 'ব্রাত্য' দিলীপ ঘোষ!
আর এই সবের পরই আরও একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে দিলীপ ঘোষের তৃণমূলে যোগদান জল্পনা। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বোমা ফাটান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। 'তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগে ও পরে যোগাযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।' দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সৌগত রায়। যদিও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তা উড়িয়ে দেন দিলীপ ঘোষ নিজে। বলেন, 'কাকে বলেছি, কখন বলেছি, উনি বলুন। ওনাকে বলেছি কি যে আমাকে পার্টিতে নিন! নাকি উনি বিজেপিতে আসতে চাইছিলেন?' কিন্তু, আজকের পর দিলীপের দলবদল জল্পনা নিয়ে যে আবার জোর চর্চা শুরু হবে তা বলাই বাহুল্য।