অর্ণবাংশু নিয়োগী: শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে পাঠানো নোটিস খারিজ করল আদালত। সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠানোর নোটিস খারিজ করল আদালত। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে এই ধরনের (১৬০ সিআরপিসি) নোটিস পাঠানো যাবে না। এই ধরনের পদক্ষেপ করলে পুলিসের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিস।
একইসঙ্গে এগরার এসডিপিও-কে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিচারপতির কড়া নির্দেশ, নিজের পকেট থেকেই এই জরিমানা দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া মন্তব্য, "তাঁর পোশাকে থাকা অশোক স্তম্ভের সম্মান রক্ষা করেননি এসডিপিও। তিনি কারোর দাসের মত কাজ করেছেন।" প্রসঙ্গত, মেছেদা-দিঘা বাইপাসে এলইডি লাইট লাগানো নিয়ে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ২০২২ সালে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। ২০১৭-১৮ সালে এই আলো লাগানো হয় বলে অভিযোগ। ২ থেকে ৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
৩১ অক্টোবর নোটিস পাঠিয়ে সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১০ বছরের আয়করের ফাইল চেয়ে পাঠানো হয়। যে প্রসঙ্গে বিচারপতির কড়া প্রশ্ন, সাক্ষীর আয়করের ফাইল দিয়ে কী হবে? তারপরই তাঁর কড়া মন্তব্য, "মামলাকারীকে হেনস্থা করার জন্য পুলিসের এই পদক্ষেপ। ভারতীয় নাগরিকদের হেনস্থা করার জন্য পুলিস বাহিনীর নির্মাণ করা হয়নি। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী কাউকে ডেকে পাঠানো হলে তাঁর আয়করের ফাইল কেন প্রয়োজন হয়, সেটা এই আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। এটা কিছু মেরুদণ্ডহীন পুলিসের কর্মকাণ্ড।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)