অয়ন ঘোষাল: চাপা আতঙ্ক এবং থমথমে পরিবেশকে সঙ্গী করে ১২ দিন পর খুলল কসবা আইন কলেজ (Kasba law College)। প্রতিক্রিয়া এল নানারকম। কিন্তু সযন্তে সবাই এড়িয়ে গেলেন মনোজিৎ নামটি। কলেজ না দুর্গ বোঝা দায়। সকাল ৭ টা থেকেই পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ গোটা চত্বর। ভিতরে বাইরে দাঁড়িয়ে পদস্থ পুলিস কর্তারা। সাতসকালে ঢুকে পড়লেন ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতা হাইকোর্ট। তার ওপর ক্রমশঃ কলেজ খোলার চাপ বাড়ছিল।
উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকদের দল কলেজের সামনে লাগানো গার্ড রেলের ভিতরে বাইরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি একাধিকবার পর্যালোচনার পর কলেজের সামনে আসেন ডিসি এস এস ডি বিদিশা কালিতা। এক এক করে পৌঁছন কর্মী এবং অধ্যাপকরা। কলেজের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রবেশ পথে আগাগোড়া মোতায়েন রাখা হয় কলেজের স্থায়ী নিরাপত্তা রক্ষী বরুণ মাহালিকে।
আতঙ্ক যে কাটেনি তার প্রমাণ সৌম্যজিৎ মিত্রের বাবা মায়ের কথায় পরিষ্কার। তারা ছেলের সাকুল্যে ২০ মিনিটের ফর্ম ফিলাপ পর্বেও এসেছেন কলেজে। আজ ছেলেকে একা ছাড়তে রাজি হননি। কলেজের পক্ষ থেকে আইনজীবী হিসেবে আদালতে সওয়াল করা কলেজেরই অধ্যাপক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, কলেজ এবার থেকে নিরাপত্তা গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে।
যদিও ফর্ম ফিলাপ করতে আসা পড়ুয়ারা বেশি কথা বলতে রাজি হননি। এদেরই একজন জানালেন আইনের কলেজের আইনের ছাত্রী আইনজীবী দ্বারা অত্যাচারিত হওয়ার পর আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন, এই ছবি একেবারেই কাঙ্খিত নয়। এদিকে কলেজ খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভাইস প্রিন্সিপালকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। সেদিন কোন সময়ে এসেছিলেন কোন সময়ে গিয়েছিলেন, রেজিস্ট্রারের টাইম নিয়ে বচসা। এরপরই বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ভাইস প্রিন্সিপালকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)