প্রবীর চক্রবর্তী: মনোজিত কাণ্ডে এমনিতেই বিতর্কে শাসক দল। তার উপর দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রাখছে রাজন্যা হালদার। বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder)। তাঁর বিকৃত ছবিও নাকি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরত। মুখ খুলে এখন দলের নেতৃত্বেরই রোষের মুখে রাজন্যা। বেশিরভাগেরই প্রশ্ন এতদিন কেন মুখ খোলেনি সে।
ডেপুটি মেয়র অতীনকন্যা প্রিয়দর্শিনী ঘোষ আগেই তোপ দেগেছিলেন। এবার মুখ খুললেন ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম (Priyadarshini Hakim)। প্রিয়দর্শিনী হাকিম এদিন বলেন, 'রাজন্যা বুঝতে পেরেছে তৃণমূলে আগে কাজ করতে হবে তারপর টিকিট। তাই আর ধৈর্য রাখতে পারেনি। শুধু ফুটেজ খাওয়ার চেষ্টা এখন। ২০২৬-এ বিজেপির টিকিট পাবে। আমিও একজন মহিলা। দলের কোনও সহকর্মীদের থেকে কোনেদিন কোনও বাজে ইঙ্গিত পাইনি।'
অন্যদিকে রাজন্যাকে নাম না করে তোপ দাগলেন কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসও। তিনি বলেন, 'এতদিন কেন বলেননি নির্যাতনের কাহিনি। কীসের আশায় ছিলেন? সেজেগুজে এতদিন পর ক্যামেরার সামনে কেন বলছেন? যৌন হেনস্থা হলে মহিলাদের জন্য দেশে আইন রয়েছে। তিনি আইনের দ্বারস্থ হতে পারতেন। যাঁরা একে মাথায় তুলেছিলেন তাদেরও ভাবা উচিত ছিল।'
রাজন্যাকে নিয়ে রবিবারই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রিয়দর্শিনী ঘোষ। তাঁরও একই প্রশ্ন, “এতদিন কেন চুপ ছিলেন রাজন্যা? কেন দলকে জানাননি? দল বা প্রশাসনের কাছে না গিয়ে মিডিয়ার কাছে মুখ খুলে ‘মুখ’ হওয়ার চেষ্টা করছেন কেন?” কিছুদিন আগে রজন্যা ইস্যুতেই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'কে রাজন্যা চিনিই না। সবার সব কথার উত্তর দিতে হবে!'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)