মৌমিতা চক্রবর্তী: সন্ধ্যা নামলেই শুরু হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। সঙ্গে 'অদৃশ্য স্কিনে' ফুটে উঠবে কলকাতার ইতিহাস! সিডনির অপেরার আদলে এবার সেজে উঠতে চলেছে হাওড়া ব্রিজ। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় তথ্য় ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। খরচ হবে ৩৫ কোটি টাকা।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি একটি সেতু। কালে কালে যা হয়ে ওঠেছে কলকাতার 'ল্যান্ডমার্ক'। পোশাকি নাম, রবীন্দ্র সেতু। তবে হাওড়া ব্রিজ নামেই চেনে সকলে। এ শহরের কত অজানা ইতিহাসের সাক্ষী এই আইকনিক হাওড়া ব্রিজ! কলকাতা ও হাওড়ার মাধ্যমে সড়ক পথে যোগাযোগ রক্ষা করছে এই সেতুই। হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ করে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্যায়নের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কী সেই পরিকল্পনা? স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো বিশেষ দিনে নয়, প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হবে হাওড়া ব্রিজে। ব্রিজের ঠিক মাঝে এমনভাবে এলইডি স্ক্রিন বসানো হবে, যাতে খালি চোখের সহজে নজরে না পড়ে। আবার দিনের বেলায় এই স্কিনের কারণে হাওড়া ব্রিজের রূপ বদলে যাবে না। স্রেফ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, সন্ধ্যার পর এই 'অদৃশ্য স্ক্রিনে' ফুটে উঠবে কলকাতার ইতিহাস। আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকে। অনুমোদন মিলেছে।
এর আগে, ২০২০ সালে কোভিড যোদ্ধাকে সম্মান জানাতে আলোর ধারায় সেজে উঠেছিল হাওড়া ব্রিজ। সঙ্গে ছিল শব্দও। সেবছরের জানুয়ারি হাওড়া ব্রিজে শব্দ-আলোর যান্ত্রিক ব্যবস্থার নয়া যান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।