প্রবীর চক্রবর্তী: কয়েক বছর ধরেই রবীন্দ্র সরোবরে যে কোনও ধরনের পুজো বা সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের। এবারও রবি ও সোমবার ছটপুজো এই উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র সরোবরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেএমডিএ। শনিবার সন্ধে ৭টা থেকে সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত সরোবরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সরোবরের চারপাশে বাঁশ দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গেটে টাঙানো হয়েছে বিকল্প জলাশয়ের তালিকা। শুধু রবীন্দ্রসরোবর নয়, সুভাষ সরোবরেও বন্ধ ছট পুজো। তার বদলে শহরের প্রায় ১৫টি জায়গায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। যাতে ধর্মীয় উপাচার উদযাপনে কোনও সমস্যা না হয়।
আরও পড়ুন, Dengue Death: ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুলিস কর্মীর, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, “পুরসভার পক্ষ থেকে একাধিক কৃত্রিম জলাশয় এবং ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চেঞ্জিং রুম ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ।যদিও দু'বছর ধরে কেউ রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরে যাচ্ছেন না। কারণ মানুষ সচেতন।” পুরসভা ও কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঘাটে নিরাপত্তার জন্য ডুবুরি, নৌকার ব্যবস্থা থাকছে। পুলিসের সঙ্গেই মোতায়েন থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’জন করে কর্মী। ১৮টি গঙ্গার ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না। আগেই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পরিবেশ আদালত।
প্রসঙ্গত, চারদিন-ব্যাপী ছট পুজোর উদযাপন আজ ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু। চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ছট পুজোর মূল দিন ৩০ অক্টোবর, রবিবার। মূলত বিহারে উদযাপিত ধর্মানুষ্ঠান হলেও ছট পালিত হয় বিহার ও ঝাড়খণ্ড-সহ উত্তর প্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গেও। ভারতের প্রধান প্রধান শহর কলকাতা,দিল্লি ,মুম্বইয়ে বহু মানুষ ছট পালন করেন।
আরও পড়ুন, Duare Sarkar: নভেম্বরেই রাজ্যে ফের 'দুয়ারে সরকার', মিলবে আরও দুটি পরিষেবা