জি ২৪ ঘধণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ফের দাপিয়ে ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে ফলপ্রকাশ পর্যন্ত একের পর এক মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। তা নিয়ে সোচ্চার বিজেপি। এরকম এক আবহে পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী কী বার্তা দেন তার দিকেই তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকরা। কারণ এবারের একুশের সভা একেবারেই অন্যরকম। কারণ সামনেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দেশের বিরোধী শিবির তৈরি করে ফলেছে নতুন মঞ্চ, 'ইন্ডিয়া'।
এবার পঞ্চায়তে নির্বাচনের প্রচারে বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জেলায় জেলায় তাঁর সফরে বিপুল সাড়া মিলেছে। ফলে তিনিও কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য কী বলেন সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল সূত্রে খবর ৯-১০ জন বক্তার একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে বক্তারা থাকবেন একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চে। উপজাতি, হিন্দিভাষী, সংখ্যালঘু সমাজের তরফেও প্রতিনিধিরা থাকবেন সমাবেশে।
১১০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল: মমতা
২০২৪ সালে জয় বাংলার সঙ্গে জয় ইন্ডিয়ার স্লোগান দেবে তৃণমূল: মমতা
ইন্ডিয়া লড়বে, তৃণমূল কংগ্রেস পাশে ঝান্ডা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে: মমতা
আমরা জব কার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজ দেব। নাম হবে খেলা হবে।
১১ লক্ষ্য বাংলার বাড়ি নিজেদের টাকায় তৈরি করব।
সরসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ৩ লক্ষ ফোন এসেছে। ৭০-৮০ হাজার বার্ধক্য ভাতার ফোন এসেছে।
বাংলায় কর্ম সৃষ্টির নতুন প্রকল্পের নাম হবে খেলা হবে: মমতা
ফেক ভিডিয়ো বানিয়ে বাংলাকে অশান্ত করার শখ: মমতা
ঘর ঘর মে এক হি ডাক, মোদী যাক, মোদী যাক: মমতা
ভাঙড়ে হাঙড়রা গণ্ডগোল করেছে।
সামাজিক সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে: মমতা
আমরা চেয়ারকে কেয়ার করিনা। আমরা চাই দেশ থেকে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে বিদায় নিক। কারণ বিজেপি-কে আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
৫ অগস্টের ঘেরাও ব্লক হিসেবে করে বাড়ি থেকে ১০০মিটার দূরে করতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে কেউ বলতে না পারে তাঁদেরকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
আমরা পর পর ৫বার প্রথম হয়েছি তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।
মহিলাদের ইজ্জত নিলে আসন্ন নির্বাচনে মহিলারাই দেশের বাইরে ফেলে দেবে আপনাদের: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কমিশনের নির্দেশের পরে শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠনের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
৫ অগস্ট বিজেপি-র ছোট বড় সব নেতার বাড়ি ঘেরাও। তালিকা তৈরি করে ব্লক স্তরেও ঘেরাওয়ের নির্দেশ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা ঘেরাও। বাড়ির বরদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বিজেপি নেতাদের গণঘেরাওয়ের ডাক তৃণমূলের
২ অক্টোবর কৃষি ভবনের বাইরে দিল্লি চলোর ডাক তৃণমূল কংগ্রেসের
আগামির লড়াই ২০২৪ এর লড়াই। সারা দেশে আওয়াজ উঠেছে আগামী ২৪-এর নির্বাচনে জিতছে ইন্ডিয়া: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, মানুষ পঞ্চায়েত গড়েছে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নি ঘোষ জানিয়েছেন, 'আপনাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মীরা মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকে বলে আমাদের মতো নেত্রীরা মঞ্চে থাকতে পারে। এই লড়াই অনেক বেশি তীব্রতর কারণ যাদের বিরুদ্ধে লড়াই তারা রক্ষকের বেশে ভক্ষক। এবার দেশ বাঁচানোর লড়াই, আগেরবার রাজ্য বাঁচানোর লড়াই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আর্শীবাদ করুন যাতে এগিয়ে যেতে পারি'।
২১-এর মঞ্চে ছিঃ মোদী ছিঃ স্লোগান তুললেন কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম
শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এগিয়ে আমরাই। কালিঘাটে হামলাকারীর প্রথম ছবি জি ২৪ ঘণ্টার হাতে।
কলকাতার পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায় ওই যুবকের কাছে
ওই যুবকের কাছ থেকে একটি কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই কার্ডের একদিকে বিএসএফ অন্যদিকে আইবি লেখা। তাঁর বাড়ি আনন্দপুর। নাম নুর আলম।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, 'উদ্বেগের বিষয়। ইমিডিয়েটলি সিপি ও কালীঘাটের ওসিকে সাসপেন্ড করা উচিত। পুলিস তো রাখীবন্ধন, খেলা, মেলা, ব্যালট লুঠে ব্যস্ত। তাই নিরাপত্তা নিয়ে ওদের হুঁশ নেই'।
ওই যুবকের কাছ থেকে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। সেই ব্যাগে ভোজালি এবং ছুরি ছিল বলে জানা গিয়েছে। গাড়িটি নথিভুক্ত শেখ নুর আমিনের নামে। গাড়ির নম্বর WB06U0277। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ধকার চেষ্টা করে ওই যুবক।
২১ জুলাইয়ের দিনই মমতা বন্দ্যপাধ্যেয়র বাড়ির গলিতে পুলিস লেখা গাড়ি নিয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা সশস্ত্র যুবকের।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চের বক্তা তালিকায় রয়েছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বীরবাহা হাঁসদা
জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া
ফিরহাদ হাকিম
অরূপ বিশ্বাস
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
প্রকাশ চিক বরাইক
শিউলি সাহা
রাজন্য হালদার
অনিত থাপা
সায়নী ঘোষ
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
মোশারফ হোসেন
বিশ্বজিৎ দাস
প্রতিমা মন্ডল
২১-এর মঞ্চ থেকেই ২৪-এর বার্তা। ২৪-এর লড়াইয়ের সুর বেঁধে দেবেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে যে আজকের এই সভা থেকেই মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরা ২০২৪-এর সুর বেঁধে দিতে চাইছেন। ফলত যে বিষয়গুলো আজ সামনে আসতে পারে তাঁর মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। ৩দিন আগেই বিরোধী জোটের নতুন নামকরণ হয়েছে। সেখানে ইনক্লুইভ শব্দটি রয়েছে। এই সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা সামনে রাখা হবে। সেই কারণেই আজকের বক্তা তালিকায় সমস্ত ধরনের সম্প্রদায় এবং মানুষের রিপ্রেজেন্টেশন রয়েছে। এই তালিকায় বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। পাশপাশি থাকবে সংখ্যালঘু, হিন্দিভাষী এবং পাহাড়ের প্রতিনিধিত্ব।
জানা গিয়েছে ২০২৪ নির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণের সুর বেঁধে দেবেন তাঁরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বলেছেন যে এমএনআরইজিএ-র টাকা আটকে রেখেছে দিল্লি। এই অভিযোগে তাঁরা দিল্লি অভিযান করবেন। সেই প্রতিবাদের সূচিও আজকের মঞ্চ থেকে ঘোষণা হত পারে।
পাশাপাশি এইযে বিরোধী ঐক্য, ইন্ডিয়া বনাম এনডিএ যে সুর বেঙ্গালুরুর বৈঠকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে আরও সুর চড়ানো হবে। এবং বিরোধী জোটের উপর প্রবলভাবে জোর দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গে আরও মানুষকে জানানোর জন্য এবং প্রতিবাদকে আরও গতি দেওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ১ কোটিরও বেশি চিঠি এসে পৌঁছেছে তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে। প্রধানমন্ত্রী এবং গিরিরাজ সিং-এর কাছে এই চিঠি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সঙ্গেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের পারফরম্যান্সের জন্য নেতা কর্মীদের উৎসাহিত করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। পাশপাশি বিজেপি এই রাজ্যে হিংসার আবহ তৈরি করছে এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
একুশে জুলাই-এর সমাবেশের যোগ দিতে নদীপথে পাড়ি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সব রাস্তা যেন মিশে গিয়েছে ধর্মতলাতে। ধর্মতলায় একুশে জুলাই সমাবেশের যোগ দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমস্ত স্থলপথে ও জলপথে পাড়ি দিচ্ছে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে। পঞ্চায়েতে নির্বাচনে কার্যত বিরোধীদের হাওয়াই উড়িয়ে দিয়েছে সবুজ বাহিনী। লক্ষ্য ২৪ এর লোকসভা। ২১ জুলাই মঞ্চে থাকবে তৃণমূলের সুপ্রিমও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ঐতিহাসিক একুশে জুলাই এর সমাবেশের যোগদান করতে সাগর থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা নৌকায় করে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে। শুধু সাগর নয় কুলতলী, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি বারুইপুর,ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং সহ জেলার একাধিক জায়গা থেকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা একুশে জুলাইয়ের শহীদ স্মরণে যে সমাবেশ সেই সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ররওনা দিয়েছে। সব রাস্তা যেন ধর্মতলা মুখি। ২১শে জুলাই শহীদ সমাবেশে মঞ্চ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে কি বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিকেই বিশেষ নজর। কার্যত সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ কোথাও হালকা ও কোথাও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা রওনা দিয়েছে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে।
ট্যুইট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
#ShahidDibas, a day of resilience, evokes countless emotions in our hearts!
Today, Bengal pays homage to the 13 gallant martyrs who sacrificed their lives while fighting tyrannical forces and upholding democratic ethos.
Inspired, I shall keep working towards a just society.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 21, 2023
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা, সবং, পিংলার কর্মীরা বালিচক স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন। গতকাল রাত্রী থেকেই স্টেশনের সামনে ক্যাম্প খোলা হয়েছে সহযোগিতার জন্য। সেখানে ডেবরা, সবং,পিংলার নেতৃত্বরা উপস্থিত হয়েছেন। হাজার কর্মী-সমর্থক বালিচক স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেন।
একুশে জুলাই সমাবেশকে সফল করতে ভাঙ্গর থেকে আরাবুল ইসলাম, হাকিমুল ইসলাম, কাইজার আহমেদের মত নেতৃত্বরা কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে কলকাতা উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। কিন্তু সেভাবে চোখে পরলো না কর্মী সমর্থকদের ভিড়। ভাঙড় হাতিশালা বা বাসন্তী হাইয়ের উপরে।
একুশে জুলাই তৃণমূলের সমাবেশকে সফল করতে বসিরহাট থেকে কয়েকশো গাড়ি ছুটল কলকাতায়। আজ বসিরহাট মহকুমা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করে বাসে উঠে কেউ বা ম্যাক্সি গাড়ি অটোতে ম্যাটাডোর চেপে কলকাতায় তৃণমূলের সমাবেশে উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তৃণমূলের দাবি বসিরহাট থেকে প্রায় একশো উপর বাস ম্যাটার অন্যান্য গাড়ি করে প্রায় ২৫ হাজারের উপরে মানুষ যাচ্ছে কলকাতায় একুশে জুলাই তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে।
তর্পণ করে ২১ জুলাই এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা খড়দহ যুব শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতার মেয়ো রোডে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গুলিতে নিহত হয়েছিল ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী। ২০০৯ সাল থেকে এই ১৩ জন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তর্পণ করে যাচ্ছেন খড়দহ শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খড়দহ কাঠিয়া বাবা আশ্রম ঘাটে ১৩ জন শহীদদের তর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানালো খড়দহ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী ও এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তর্পনের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, 'আজকে ধর্মতলায় শহীদ মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বার্তা দেবে সেই বার্তাকে পাথেয় করে আমরা ২০২৪ এর লক্ষ্যে এগিয়ে যাব'।
ট্রেনে করে আরামবাগ ও গোঘাট থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশের পথে। যদিও রাত থেকেই আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ভাড়া করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
শহীদ দিবস উপলক্ষে কয়েকশো দলীয় কর্মীদের নিয়ে কালনার সমুদ্রগর স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কিছু কর্মী কাল রাতে ও আজ ভোরবেলা রওনা দিয়ে দিয়েছেন। এই সভা সাফল্য করতে ও সভা থেকে দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দেন তা শুনতে ও জানতে কলকাতা রওনা দেন কর্মী ও নেতারা।
একুশে জুলাই কে সামনে রেখে সকাল থেকে স্টেশনে ভিড় তৃণমূল নেতা কর্মীদের।। রওনা দিচ্ছে কলকাতা। মিছিল করে এসে তারা যাচ্ছে।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে কলকাতার ধর্মতলায় শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শহীদ স্মরণে কর্মসূচিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে কাতারে কাতারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক রওনা হচ্ছেন কাটোয়া ষ্টেশন থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কার্টুন সেই সঙ্গে লক্ষী ভান্ডারের কার্টুন নিয়ে কাটোয়া থেকে কলকাতার ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। গত কাল রাত থেকেই রওনা হয়েছেন অগণিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। আজ ভোরের আলো ফোঁটার আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা রওনা দিতে শুরু করেছেন । উত্তরবঙ্গ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার এক অংশ সহ কাটোয়া ও কাটোয়া সংলগ্ন এলাকার মানুষ ট্রেন, বাস সহ বিভিন্ন যানবাহনে করে কাটোয়া স্টেশনে পৌঁছে কাটোয়া থেকে হাওড়াগামী ট্রেন ধরে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।
একুশে জুলাইকে সামনে রেখে শুক্রবার ভোর থেকেই আসানসোল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে রওনা দিচ্ছেন জেলার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন ট্রেনে করে রওনা দিচ্ছে কলকাতার উদ্দেশ্যে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন বিভিন্ন স্টেশন থেকেও রওনা দিচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা
আজ শুধু উত্তরবঙ্গের দূরপাল্লার ট্রেন নয়, লোকাল ট্রেনে শহরতলি থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে নামলেই হাতে হাতে গরম খিচুড়ি আর আলুর তরকারি। সঙ্গে একটা করে হাফ লিটার জলের বোতল। গত ৭২ ঘন্টা ধরে চলা হেল্পডেস্ক ও মেডিক্যাল ক্যাম্পে আর কর্মী সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। সকাল ৮ টার মধ্যে এসে পৌছাবে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব দূরপাল্লার ট্রেন। সাড়ে ৮টার পর থেকে লোকাল ট্রেনে কাতারে কাতারে মিছিল করে নামতে শুরু করবেন লক্ষাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। শিয়ালদহ স্টেশনে আজ চরম ব্যস্ততা।
সেন্ট্রাল পার্ক মেলা মাঠ থেকে একের পর এক বাসে করে তৃণমূল কর্মীরা রওনা দিলেন। সুজিত বোস আসার পর এক এক করে বাস ছাড়লো। শিয়ালদা যাবে এই বাসগুলো। সেখান থেকে মিছিল করে ২১ জুলাই মঞ্চে যাবে তাঁরা।
Thank you