ব্যুরো: সকলেই ওঁরা সরকার স্বীকৃত মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু চার বছর হয়ে গেল এক পয়সাও বেতন পান না। চিঠি চাপাটি, আলাপ, আলোচনার পর এবার মাদ্রাসা বোর্ডের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন হাজারেরও বেশি শিক্ষক।দশ হাজার মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। পালাবদলের পরই ঘোষণা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু মাদ্রাসার স্বীকৃতিই নয়। সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে আরও বিস্তর প্রতিশ্রুতি। দশ হাজার মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি , কম কথা নয়। সব মিলিয়ে দুলক্ষ কর্মসংস্থান। সংখ্যালঘু শিক্ষিত যুবকরা রীতিমতন আনন্দে আত্মহারা। দেখতে দেখতে কেটে গেল প্রায় সাড়ে চার বছর। বাস্তব ছবিটা কিন্তু অন্য কথা বলছে।
দশ হাজারের পরিবর্তে এখনও পর্যন্ত স্বীকৃতি পেয়েছে দুশো চৌত্রিশটি মাদ্রাসা। আরও প্রায় চারশো মাদ্রাসার স্বীকৃতি দেড়বছর ধরে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে। এই মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা। কী তাঁদের অবস্থা? কেউ এক পয়সাও বেতন পাননা।
এর প্রতিবাদেই অনশন শুরু করেছেন প্রায় হাজার খানেক শিক্ষক।
এরমধ্যে অনশানকারীরা বারবার যোগাযোগ করেছেন মন্ত্রীদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফ্যাক্স পাঠিয়েছেন। তাঁদের দাবি তাতে লাভ তো কিছু হয়ইনি। বরং পুলিসি হাঙ্গামা বেড়েছে।
রোজায় একমাস অনশন করেছেন। তবে সেটা সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত। এবার দুমুঠো অন্নের দাবিতে অনশন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।