জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিধানসভায় যুযুধান মমতা-শুভেন্দু। শুভেন্দুকে নন্দীগ্রাম খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তোপ দাগেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা ভুলে গিয়েছেন। ২ ঘণ্টা আলো বন্ধ করে জিতেও হারিয়ে দিয়েছিলেন! ঠিক এভাবে এই ভাষায় নাম না করে বিধানসভায় শুভেন্দুকে 'নন্দীগ্রাম' প্রসঙ্গে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, 'যিনি এর আগে এতক্ষণ বললেন, তিনি আগে তৃণমূলে ছিলেন, তিনি কিন্তু আগের কথা বললেন না। বাম জমানার কথা বলা হয় না। কেন্দ্র যেমন ভোট করায় না, তেমনই রাজ্য সরকারও কিন্তু ভোট করায় না। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে চিরকুটে পুলিস বদল হয়! নন্দীগ্রামে ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে দিয়ে কী হয়েছিল ভুলে গেলেন? ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতেও হারিয়ে দিয়েছিলেন।' বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তুলতেই বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় বিক্ষোভ শুরু করে দেন। বিধানসভায় নন্দীগ্রামে হার নিয়ে তুমুল তরজা হয়।
এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও অভিযোগ করেন, 'শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে গিয়ে প্ল্যান করে এসেছেন। কিছু কথা আমি শুনেছি।' তিনি দাবি করেন, 'রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আরও ৩ বঙ্গ বিজেপি নেতা ছিলেন। তাদের মূল অ্যাজেন্ডা-ই হল- সমাজকে ভেঙে দাও, মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধকে বড় করে দেখাও, এমন পরিস্থিতি তৈরি কর যেখানে বাংলার সরকারকে ছোট ও নিচু দেখানো যায়। আদিবাসী, গোর্খা ও মতুয়াদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। ২০২৪-এ লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতেই ছোট ছোট পকেট করে বিভাজন তৈরির নীতি নিয়েছে বিজেপি।'
ওদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভা ভোটে ছাপ্পা-ভোট লুঠের অভিযোগ করছেন শুভেন্দুকে নিশানা করে, তখন পালটা পঞ্চায়েতে ভোট লুঠের অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু বলেন, ত্রিস্তরীয় ভোট লুঠ হয়েছে। এর দায় রাজ্য সরকারের। মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। শুভেন্দু দাবি করেন, 'চুপি চুপি ভোট হয়েছে!' কারণ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব নিয়েই ভোটের দিন ঘোষণা করে দেন। ভোটের দিন ঘোষণার আগে কোনও সর্বদলীয় বৈঠক হয়নি বলেও তোপ দাগেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে মমতার 'বিভাজন' তোপেরও পালটা জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সমাজকে বিভাজিত করার রাজনীতি করেন। আর বিজেপি সবাইকে জোড়ে। তিনি বিভাজনের রাজনীতি করেন বলেই লক্ষ্মী ভান্ডারে কেউ ৫০০ পায়, কেউ ১০০০ পায়!'