শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: যাদবপুরে নিজের বাড়িতেই আছেন মানিক ভট্টাচার্য। যাদবপুরে সেন্ট্রাল রোডে বাড়ি তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। ঠিকানা ৫৩/৩এ/১। সেই বাড়িতেই আছেন মানিক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, সিবিআই-এর লুক আউট নোটিস জারির পরই তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, ইডির খাতায় নিঁখোজ অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর খোঁজ পায় জি ২৪ ঘণ্টা। জি ২৪ ঘণ্টাকে মানিক ভট্টাচার্য জানান, তিনি ইডির সমস্ত নির্দেশ মেনে চলেছেন। তাঁকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি তাই করছেন।
বৃহস্পতিবার ফোনে মানিক ভট্টাচার্য জানান তিনি কলকাতাতেই আছেন। আরও বলেন, 'আমাকে যখন যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি সেই নির্দেশ যথাযথভাবে মেনেছি'। এদিকে মানিক ভট্টাচার্যকে স্রেফ হন্য়ে হয়ে খোঁজা নয়, আইনি পরামর্শ নিতে রীতিমতো হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। লুক-আউট নোটিসও জারি করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। সেই তালিকায় যে ২৬৯ জনের নাম ছিল, তাঁরা কীভাবে চাকরি পেলেন? প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এখন সিবিআইয়ের তদন্তে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এবার হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে।
আরও পড়ুন, SSC Recruitment Scam: 'আমার আমলে দুর্নীতি হয়নি', দাবি এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি, সেদিন মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আধিকারিকরা। এরপর ২৬ জুলাই সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। অনেক রাত পর্যন্ত চলে জেরা। এরপর অগস্টে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাঁকে দু'বার নোটিশ পাঠানো হয়, কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। সোমবার থেকে মানিকের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ইডি সূত্রে খবর, দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ। এবার কী করা হবে? বৃহস্পতিবার যখন আইনি পরামর্শ নিতে হাইকোর্টে গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বললেন ইডি আধিকারিক, তখনই মানিক ভট্টাচার্যকে খুঁজে বের করে জি ২৪ ঘণ্টা। দিনভর চেষ্টার পর তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আমাদের প্রতিনিধি।