জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘটনার পর থেকে কাদের ফোন করেন মনোজিৎ? গ্রেফতার হওয়ার আগে কি ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানিয়েছিলেন মনোজিৎ? তিন অভিযুক্তর সিডিআর অর্থাৎ কল ডিটেলস রেকর্ডে নজর পুলিসের। এমনকী মনোজিতের সিডিআর থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার রাত থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত আর কার কার সঙ্গে কথা? নম্বর চিহ্নিত করে তাদের পরিচয় জানতে মরিয়া পুলিস।
তদন্তের প্রয়োজনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২৬ জুন ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে ফোনে মনোজিতের কথা! সোমবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন SIT-র সদস্যরা। গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী এবং প্রাক্তন TMCP নেতা মনোজিতকে কসবার কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে কলেজেরই পরিচালন সমিতি। গভর্নিং বডির নির্দেশ নিয়োগ।
৩০ অগষ্ট মনোজিৎ-সহ তিনজনকে নিয়োগ করা হয় ৪৫ দিনের চুক্তি ভিত্তিতে। মঙ্গলবার কলেজের পরিচালন কমিটির বেঠক হয়। বৈঠকে ৯ সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৬ জন। ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি অশোক দেব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কসবার ল’কলেজ থেকে বরখাস্ত মনোজিৎ। কলেজ থেকে বহিষ্কার প্রমিত-জায়েবকে। চাকরি থেকে বরখাস্ত মনোজিৎ মিশ্র।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, মনোজিৎ যখন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করছিল, অপরাধ যখন সংঘটিত হচ্ছিল, তখন সেই ভিডিয়ো তুলছিল ২ জন। প্রমিত ও জায়েব। জায়েবের মোবাইল থেকে ঘটনার পর সেই ভিডিয়ো পাঠানো হয় মনোজিতের মোবাইলে। প্রমিত ও জায়েব, দুজনের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়েই নির্যাতিতা তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করার প্রমাণ মিলেছে বলে খবর পুলিস সূত্রে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)