Home> কলকাতা
Advertisement

কলকাতা মেডিকেলে করোনা রোগীর মৃত্যুর পর বেড থেকে উধাও মৃতের দামি মোবাইল!

তোলাবাজি পর কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এবার করোনা ওয়ার্ডে অচেতন বা মৃত রোগীর জিনিসপত্র চুরি!

কলকাতা মেডিকেলে করোনা রোগীর মৃত্যুর পর বেড থেকে উধাও মৃতের দামি মোবাইল!

তন্ময় প্রামাণিক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। আর তাঁর মৃত্যুর পরই রোগীর বেড থেকে উধাও দামি মোবাইল। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর চুরি হয়ে যাচ্ছে তাঁর কাছে থাকা জিনিসপত্র। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সুপারের অফিস থেকে থানা সর্বত্রই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

হাওড়া শ্যামপুরের বাসিন্দা ছিলেন ২৩ বছরের ঐন্দ্রিলা। কিডনি খারাপ হওয়ার কারণে নাগেরবাজার আইএলএস হাসপাতালে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। তখন সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্ট এলে দেখা যায় ঐন্দ্রিলা  করোনা পজিটিভ। এরপরই নাগেরবাজার আইএলএস থেকে তাঁকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ডায়ালিসিস হয় না বলে তাঁকে তারপর পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। মেডিকেলে এক সপ্তাহের বেশি ভর্তি পাকার পর গত ১৮ মে মৃত্যু হয় ঐন্দ্রিলার।

এরপর আজ মঙ্গলবার ঐন্দ্রিলার বাবা তাঁর মেয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইলের একটি ফেরত পান। অভিযোগ, অন্য মোবাইলটি চুরি গিয়েছে। শুধু ঐন্দ্রিলার মোবাইল-ই নয়, চুরি গিয়েছে আরও কয়েকজন রোগীর জিনিসপত্রও। প্রসঙ্গত, যেহেতু করোনা ওয়ার্ডে ঢোকা নিষেধ রোগীর পরিবারের লোকেদের। সেই কারণেই রোগীর কাছে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য মোবাইল ছিল। মেয়ের মৃত্য়ুর পর আজ ফোন দুটি আনতে গিয়েছিলেন শোকসন্তপ্ত বাবা। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে একটি ফেরত পান, অন্যটির কোনও হদিশ মেলেনি।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুপারের অফিস ও  থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। চুরির ঘটনায় সুপার বলেন, "ওয়ার্ডমাস্টারের কাছে মৃতের সবকিছুই জমা থাকে। পুলিস দেখছে।" তোলাবাজি পর এবার নতুন অভিযোগে অভিযুক্ত হল কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড। অচেতন বা মৃত রোগীর জিনিসপত্র চুরি! ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম দেবের এখন স্মৃতি বলতে মেয়ের একটি মোবাইল। অন্যটি ফেরত পেতে দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিসের আর হাসপাতাল সুপারের। 

আরও পড়ুন, আয় বন্ধ ২ মাস, আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে ২০০ পরিবার, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি মেলাশিল্পীদের

Read More