কলকাতা:
শূয়োর ধরতে পথে নামতে হয়েছে আগেই। এবার মশা ধরতে অভিযান কলকাতা পুরসভার। ধরা পড়া মশাগুলি দুষ্টু না ভালো ? পুরসভার ল্যাবরেটরিতে মাইক্রোস্কোপের নজরে চলছে তারই পরীক্ষা।
ক্ষ্যাপা খুঁজে ফেরে পরশ পাথর। আর পুরকর্মীরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মশার লার্ভা। চাষের জমি থেকে শুরু করে ঘিঞ্জি বস্তি, কোনও জায়গা বাদ যাচ্ছে না। মশককুলের বংশনাশ করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন পুরকর্মীরা।
যে সব জায়গায় শূয়োরের বাস এবং জলাভূমি রয়েছে, মূলত সেখান থেকেই মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাদ নেই বসতি এলাকাও। ঘরে ঘরে গিয়ে জমা জলের ভাণ্ডার চিহ্নিত করে মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কলকাতায়। লার্ভা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে যে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে কলকাতায় মূলত তিন প্রজাতির মশার সন্ধান মিলেছে।
একটি হল কিউলেক্স কুইন কিউফেসিয়েটাস
দ্বিতীয়টি কিউলেক্স জেলিডাস
তৃতীয়টি হল এডিস ইজিপ্টাই
এর মধ্যে কিউলেক্স কুইন কিউফেসিয়েটাস এবং কিউলেক্স জেলিডাস থেকে মূলত ফাইলেরিয়া এবং জ্বর জাতীয় অসুখ ছড়ায়। তবে বেশি চিন্তা এডিস ইজিপ্টাইকে নিয়ে। কারণ এই মশা ডেঙ্গির জীবাণু বহন করে। যদিও পুরসভার মশা বিশেষজ্ঞ বলছেন, এখনই দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
আগামী দিনে এভাবেই আরও মশার লার্ভা পরীক্ষা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।