নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রাম গণনা মামলায় বিচারপতির এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ Derek O'Brien। গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রামের জনাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার সকাল ১১টায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এবার সেই বিচারপতির এজলাস নিয়ে টুইটারে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। ২টি ছবি টুইট করে তিনি লিখলেন, ''দিলীপ ঘোষের সভায় ইনি কে?ইনিই কি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ?'' নন্দীগ্রাম গণনা মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দকে বিজেপির কিছু সভায় দেখা গিয়েছে। সেই বিচারপতির এজলাসে কেন নন্দীগ্রাম মামলা দেওয়া হয় তা নিয়েই সওয়াল করেন তিনি।
Who is that person ‘circled’ in both pics ?
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) June 18, 2021
Is he Justice Kaushik Chanda of Calcutta High Court ?
Has he been assigned to hear the Nandigram election case ?
Can the judiciary sink any lower ? pic.twitter.com/cBbazffZ35
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে পিছোল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি। আগামী বৃহস্পতিবার হবে মামলার শুনানি। আজ শুনানি পিছনোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "নন্দীগ্রাম মামলায় কারচুরপি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো হয়েছে। মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে রয়েছে। মহামান্য আদালত ও বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। কিন্তু আমরা কিছু ছবি পেয়েছি যা সকলের সামনে এনেছি। বিজেপির লিগাল সেলের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ বক্তৃতা করছে এবং মঞ্চে কৌশিক চন্দ বসে রয়েছেন। ফলে বিচারপতির অবচেতনে কোনও দুর্বলতা কাজ করতেই পারে। তাই আমাদের অনুরোধ যাতে উনি এই মামলাটি ছেড়ে দেন।"
আরও পড়ুন, Mukul-এর বিধায়ক পদ খারিজ করতে তৎপর Suvendu, অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়ল চিঠি
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, "সমস্যা হচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের আইনি শিক্ষার অভাব আছে। কৌশিক চন্দ বিচারপতি হওয়ার আগে তো আইনজীবী ছলি। সেই সময় কোনও বিজেপি অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকলে তা আলাদা বিষয়। বিচারপতি হওয়ার পর কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। টুইট করার আগে একটু পড়াশোনা করে নেওয়া প্রয়োজন।"
জানা গিয়েছে, এদিনের শুনানিতে মামলাকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবীদের উদ্দেশ বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'নির্বাচনী মামলায় সাধারনত মামলাকারীকে থাকতে হয়। এক্ষেত্রে মামলাকারী কি থাকতে পারবেন?' উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা জানান,'নিয়ম যা আছে তাই হবে।' পরে আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি।