ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলে দলবাজি ও তোলাবাজি কোনওটাই চলবে না। এবার নীতি নির্ধারণের সভায় কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিপুল জয়ের পরেও দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তিতে নেই মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা নয়, এই মুহূর্তে নিজের দলই তাঁর যাবতীয় মাথাব্যথার কারণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিন্তা মূলত দুটি।
সিন্ডিকেট নিয়ে সরকারের উদ্যোগ শুধু অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়তেই থেমে থাকবে না। বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কাউকে রেয়াত করা হবে না। সবাই যেন সেকথা মাথায় রাখেন।
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তার সঙ্গী। এবার আর বরদাস্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে তিনি বলেন, 'কাকলি তোমার জায়গায় তুমি খুব নোংরা পলিটিক্স করছ। আমি ববিকে বলেছি সুজিত, সব্যসাচী, কাকলিকে নিয়ে বসে বিষয়টি ঠিক করতে'
কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, শুধু বিধাননগর নয়। তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যা জেলায় জেলায়। নদিয়ায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও দলের জেলা সভাপতির মধ্যে ইগোর লড়াইয়ে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী।
মালদহের মোয়াজ্জেম হুসেনকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সকলকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের দুই নেতার ইগোর লড়াই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হুগলিতে দিলীপ যাদবকে সরিয়ে শান্তনু ব্যানার্জিকে যুব সভাপতি করায় প্রকাশ্যেই আপত্তি করেছেন এক সাংসদ।
শৃঙ্খলার প্রশ্নে যে আপোস করা হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে দেরিতে ঢোকায় ধমক খেয়েছেন একদা ঘনিষ্ঠ দোলা সেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তোমারই সময়ের মূল্য আছে? আর কারও সময়ের মূল্য নেই? তোমার জন্য সকলে বসে থাকবে? শ্রমিক সংগঠনে দলাদলিও যে ভালভাবে নিচ্ছেন না তিনি, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চা শ্রমিকদের চারটি সংগঠন ভেঙে একটি ফেডারেশন তৈরি করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ২০ অগাস্ট নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চা শ্রমিক ফেডারেশনের প্রথম সভা।
ঘরের সমস্যা যেমন তাঁকে ভাবাচ্ছে, তেমন বিরোধীদের নিয়েও কিছুটা চিন্তিত তৃণমূল নেত্রী। জেলায় জেলায় বিজেপির কার্যকলাপে নজর রাখতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেনতিনি।