নিজস্ব প্রতিবেদন : ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়েছিল ২০ মে। তারপর থেকে ক্যালেন্ডারের পাতায় ১ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাঁকুরগাছি পোস্ট অফিসে লিঙ্ক আসেনি। ফলে টাকার অভাবে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন প্রবীণ মানুষরা। আটক রয়েছে জরুরি অস্ত্রোপচারও। টাকার অভাবে করাতে পারছেন না অস্ত্রোপচার।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল শহর কলকাতা। সারা শহরজুড়ে উপড়ে গিয়েছিল ৫০০০ গাছ। গাছ উপড়ে ও ঝড়ে ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের তার, ইন্টারনেটের তার। উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার টাওয়ারগুলিও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা ভেঙে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে টেলিকম পরিষেবাও।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। টেলি যোগাযোগও স্বাভাবিক হয়। কিন্তু আমফান তাণ্ডবের পর থেকে কাঁকুরগাছি পোস্ট অফিসের ছবিটা আর বদলায়নি। আমফানের পর সব পোস্ট অফিসগুলিতেও পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। প্রথম কয়েক সপ্তাহ লিঙ্ক আসেনি। কিন্ত তারপর অন্য পোস্ট অফিসগুলিতে দ্রুত পরিষেবা ফিরলেও কাঁকুরগাছিতে সমস্যা রয়েই গিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, "এক মাসের উপর লিঙ্ক নেই। কেউ টাকা তুলতে পারছেন না।" সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার হাবিবুর রহমান। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি আবার দায় চাপিয়েছেন বিএসএনএল-এর ঘাড়ে। তাঁর কথায়, "যতবার বিএসএনএল-এর দফতরে জানিয়েছি, লোক নেই বলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
এদিকে টাকা তুলতে না পেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন এলাকার প্রবীণ মানুষরা। প্রায় প্রতিদিন-ই টাকার জন্য তাঁরা ছুটে আসছেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এলাকার-ই এক প্রবীণ জানালেন তাঁর অসহায়তার কথা। তিনি জানান, "অপারেশন করাতে পারছি না টাকার অভাবে। কবে লিঙ্ক আসবে তাও কেউ জানাতে পারছেন না।"
আরও পড়ুন, দ্বৈরথ থাকলেও দেশ সবার আগে, শুক্রবারের মোদীর সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন মমতা