জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিলোত্তমার খাদ্যপ্রেমীদের কাছে এক দারুণ খুশির খবর চলে এল। এই শহরের খাবারের বৈচিত্র্য সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। এবার কলকাতার (Kolkata) জনপ্রিয় ও ঐতিহ্য়বাহী এই রেস্তোরাঁর নাম দুনিয়ার মানচিত্রে জায়গা করে নিল। ক্রোয়েশিয়ার অনলাইন ফুড গাইড পোর্টাল টেস্ট অ্যাটলাস (Taste Atlas) বিশ্বের ১৫০ আইকনিক রেস্তোরাঁর তালিকা প্রকাশ করেছে। ভারতের সাত শহরের সাত রেস্তোরাঁ সেই তালিকায় রয়েছে। কলকাতা থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র পিটার ক্যাটকে (Peter Cat)।
দেশের যে সাতটি রেস্তোরাঁকে টেস্ট অ্যাটলাস তাদের তালিকায় রেখেছে
১) কেরলের প্যারাগন রেস্তোরাঁ (১১ নম্বরে)
২) লখনউয়ের তুন্ডে কাবাবি (১২ নম্বরে)
৩) কলকাতার পিটার ক্যাট (১৭ নম্বরে)
৪) হরিয়ানার অমঋক সুখদেব ধাবা (২৩ নম্বরে)
৫) বেঙ্গালুরুর মাভালি টিফিন রুম (৩৯ নম্বরে)
৬) দিল্লির করিম'স (৮৭ নম্বরে)
৭) মুম্বইয়ের রাম আশ্রয় (১১২ নম্বরে)
১৮ এ পার্ক স্ট্রিট, স্টিফেন কোর্ট বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে চেলো কাবাব (Chelo Kebab)। এখানকার এই সিগনেচার ডিশের টানেই বহু মানুষ ছুটে আসেন পিটার ক্যাটে। রেস্তোরাঁয় আসা ফুড লাভার্সদের তালিকায় রয়েছেন সেলেবরাও। ১৯৭৫ সালে তৈরি হওয়া পিটার ক্যাট, কলকাতার মানুষের ভারতীয় ও মহাদেশীয় ক্যুইজিনের রসনাকে তৃপ্ত করেছে। ১৫০ টি বিশ্ববিখ্যাত রেস্তোরাঁর তালিকায় পিটার ক্য়াট রয়েছে ১৭ নম্বরে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন প্রথম কুড়ির মধ্যেই পিটার ক্যাট। এখনও যাঁরা পিটার ক্যাটে যাননি, সময় করে একবার সেখানে গিয়ে বিখ্যাত চেলো কাবাব খেয়ে দেখুন। ক্রোট ওয়েবসাইটও বলছে, এখানকার চেলো কাবাবই খেয়ে দেখতে। এর পাশাপাশি চেখে দেখতে পারেন সিজলার, মিক্সড গ্রিল, দম মাটন রানও। তবে চেলো কাবাব খেলে মনে হবে, এই স্বাদ সত্যিই স্বর্গীয়। মুখে লেগে থাকবে। চার দশক ধরে কলকাতার মানুষের সেবায় রয়েছে পিটার ক্যাট। এখানকার খাবারই নয়, হেরিটেজও কথা বলে। বছরের পর বছর মানুষ এখানে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় জমান। নন-ভেজের পাশাপাশি ভেজ আইটেমও বেশ জনপ্রিয়। রয়েছে সুরাপ্রেমীদেরও মনকে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা।