নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে 'আত্মহত্যা' বলেই অনুমান করে পুলিস। নিয়মমাফিক এরপর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠান অফিসাররা। আর সেই রিপোর্ট হাতে পেতেই চক্ষুচড়ক গাছ তদন্তকারীদের। মৃত্যুর পিছনে যে অন্য কারণ রয়েছে বুঝতে আর সময় লাগেনি তাঁদের।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার চক্রবেড়িয়া রোডে। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বছর ২৯-এর উৎসব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। সূত্রের খবর, "স্বামী আত্মহত্যা করছে" বলে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী রিঙ্কি পাল। মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে যায় প্রতিবেশীরা। এরপর ভিতর থেকে বন্ধ ঘরের দরজা ভাঙেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভবানীপুর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ওই সময় বন্ধ ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন উৎসব মণ্ডল এবং ঘরের মধ্যে বসে ছিল তাঁর স্ত্রী রিঙ্কি পাল। মৃত উৎসব মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আর সেই রিপোর্ট হাতে আসতেই প্রকাশ্যে এল মৃত্যুর পিছনের আসল রহস্য।
পুলিস জানতে পারে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে উৎসব মণ্ডলকে। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রী রিঙ্কি পালকে গ্রেফতার করে পুলিস। অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে স্বামী উৎসব মণ্ডলকে খুন করেছে রিঙ্কি। ঘটনার আরও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: বিধানসভায় রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভের জের, স্পিকারকে ডেকে পাঠালেন ধনখড়