Home> কলকাতা
Advertisement

Recruitment Scam: আমার ২০০ কোটি টাকা থাকতে পারে, আম্বানিদের টাকা নেই! অভিষেক সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য কালীঘাটের কাকুর

Recruitment Scam: কালীঘাটের কাকু ও তাঁর আত্মীয়ের সংস্থা মিলিয়ে ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবার ইডি-র নজরে বলে জানা গিয়েছে। এই ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে

Recruitment Scam: আমার ২০০ কোটি টাকা থাকতে পারে, আম্বানিদের টাকা নেই! অভিষেক সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য কালীঘাটের কাকুর

বিক্রম দাস: রুটিন মেডিক্যাল টেস্ট করাতে এসে মেজাজ হারালেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে ফুঁসে উঠলেন সুজয় কৃষ্ণ। বললেন, অভিষেককে ডাকাডাকি করে কোনও লাভ হবে না। তাঁর ৬টি কোম্পানিতে ২০-২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ কীভাবে? মেজাজ হারিয়ে কাকুর জবাব, তাতে আপনার কী?

আরও পড়ুন-খড়গপুর ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল, ঘটনাস্থলে রেল আধিকারিকরা 

শনিবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হতেই তাকে ছেঁকে ধরেন সংবাদমাধ্য়মের কর্মীরা। ইডির হাতে গ্রেফতারের পর থেকেই মেজাজ হারাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কুন্তলের চিঠি সঙ্গে অভিষেকের কি কোনও সম্পর্ক রয়েছে? আপনার উপরে কি কোনও চাপ রয়েছে? কালীঘাটের কাকু অবশ্য বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর টাকা আছে তাতে ইডি-র কী! ওই টাকার মধ্যে কি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা রয়েছে? কাকুর জবার, কোনও টাকা নেই। ২০০৮ সাল থেকে কাজ করছি। সব ডক্যুমেন্ট দিয়েছি। আমার ২০০ কোটি টাকা থাকতে পরে। লোকের কি টাকা নেই? আদানি আম্বানিদের কি টাকা নেই? এই দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নই।

উল্লেখ্য, গ্রেফতারের আগে জেরার মুখে ইডি-র একাধিক প্রশ্নে পার্থ চ্যাটার্জির নাম নিয়ে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার অথবা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সন্তু গাঙ্গুলি ২৭ কোটি টাকা নেওয়ার প্রশ্নেও কালীঘাটের কাকু বিষয়টিকে পার্থ চ্যাটার্জির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এই ঘটনায় ইডি বুঝতে পারে সন্তু নিয়েও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করছেন তিনি। বেশ কিছু প্রমাণ সামনে রাখতেই সন্তু গাঙ্গুলির সঙ্গে নিজের যোগাযোগ নিয়ে নিরুত্তর হয়ে যান সুজয়। সুজয়ের বাজেয়াপ্ত হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনে বিভিন্ন তথ্য ও কথোপকথন মুছে দিয়েছিলেন তিনি যা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এগুলি তাঁর সামনে রেখেই জেরা করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। এরপরেই মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু’। তিনি ইডি অফিসারদের উপরে কার্যত চোটপাট করতে শুরু করেন বলেও জানা যায়। তার পরেই গত ৩১ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কালীঘাটের কাকু ও তাঁর আত্মীয়ের সংস্থা মিলিয়ে ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবার ইডি-র নজরে বলে জানা গিয়েছে। এই ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে যে কালো টাকা সাদা করার কাজে এই ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কাজে লাগানো হয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। পাশপাশি আগেই যে তিনটি সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর সঙ্গে নতুন আরও তিনটি সংস্থার হদিশ পাওয়া গেল। নতুন খোঁজ পাওয়া সংস্থাগুলি হল এ সরকার অ্যাসসিয়েটস, সরকার এন্টারপ্রাইস এবং নয়নিকা এন্টারপ্রাইস।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Read More